রাজ্য সরকারের আমলা বা মন্ত্রী না হয়েও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বৃদ্ধি পাবে বলে ঘোষণা করে দেওয়া হল। তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্♉বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা একলাফে দ্বিগুণ বাড়ানো হবে। অর্থাৎ দু’হাজার টাকা করার ঘোষণা করে দিয়ে বিতর্ক তৈরি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই রাজ্য সরকারকে ভাতা ও অনুদানের সরকার বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি।
রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরু করেছিল ৫০০ টাকা দিয়ে। এটা সব মহিলা পেতেন। আর এক হাজার টাকা করে পেতেন তফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলারা। তারপর সেটা বাড়িয়ে সব মহি♒লার জন্য মাসে ১০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলাদের জন্য ১২০০ টাকা করা হয়। এই টাকাই ২০২৬ সালের আগে বেড়ে হয়ে যাবে দু’হাজার টাকা প্রতি মাসে। প্রত্যেক মহিলা তা পাবেন। দলীয় বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে অন্তত তেমনই দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত প্রধান। যা ঘিরে এখন তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমিহীনদের জমি দিয়ে বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রাজ্যের, সমীক্ষা করে দেওয়া হবে টাকা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ব্লক এবং অঞ্চলভিত্তিক তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী শুরু হয়েছে। দুর্গাপুজোর পর থেকে তা শুরু হয়েছে। এখানে নানা অনুষ্ঠানের সঙ্গে প্রবীণ কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। এই আবহে পটাশপুরে সাউৎখণ্ড অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান হয়। পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এক হাজার টাকা থেকে বেড়ে দু’হাজার টাকা হবে বলে ঘোষণা করা হল। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বিজনবন্ধু বাগ বলেন, ‘আরজি কর কাণ্ডের সুবিচার আমরাও চাইছি। আমাদের নেত্রী মানুষের এই আন্দোলনকে সম্মান করেছেন। মহিলাদের সামনে রেখে কিছু রাজনৈতিক দল আমাদের বির🌳ুদ্ধে কুৎসা করছে। ২০২৬ বিধানসভায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে এক হাজার টাকা বেড়ে দু’হাজার টাকা হবে।’