শহর ও শহরতলির লাইফলাইন লোকাল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। বাসও চলছে খুব কম। সুতরাং কলকাতায় ডিউটিতে আসতে সমস্যায় পড়েছেন দূর–দূরান্তের পুলিশ কর্মী থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং হোমগার্ডরা। কেউ কেউ কাজে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। বিকল্প পথের সন্ধানে তাঁদের ‘স্♕টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে’ উঠতে দেওয়ার জন্য রেলকে চিঠি দিল লালবাজার। আর রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে উপযুক্ত পরিচয়পত্র থাকলে তবেই তাঁরা উঠতে পারবেন ট্রেনে। অন্য কেউ যাতে রেল পরিষেবা ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য কঠোর পদক্ষেপ করছে রেল।
এখন এই পরিস্থিতিতে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তাহলে কী পুলিশ কর্মীরা পারবেন না স্টাফ স্পেশাল ট্রেন ব্যবহার করতে? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রের খবর, এই আবেদন জানিয়ে শিয়ালদহ এবং হাওড়ার দুই ড🅰িভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে চিঠি লিখেছেন কলকাতা পুলিশের বিশেষ কমিশনার দেবাশীষ রায়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, পুলিশকর্মীরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। বহু পুলিশকর্মী রোজ ট্রেনে যাতায়াত করেন। তাই তাঁদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হোক।
হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, ‘স💟্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া আর কেউ স্টাফ স্পেশ্যালে উঠতে পারবেন না। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কামরা আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যই তা বরাদ্দ থাকছে। তাঁদের কাছে সঠিক পরিচয়পত্র থাকতে হবে। টিকিট পরীক্ষক তাঁদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখবেন। রেলকর্মীরা যাতে সংক্রমিত না হন, তার জন্য🌄ই দূরত্ব বিধি মেনে ট্রেন যাত্রার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
লালবাজার সূত্রের খবর, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে আপাতত ১৪ দিনের জন্য হাওড়া এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে সব শাখার লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন কলকাতার বিভিন্ন ট্র🦄্যাফিক গার্ড, থানা বা লালবাজারে কর্মরত পুলিশকর্মী, হোমগꦡার্ড এবং সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। তাঁদের একটা বড় অংশই লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন। এই অবস্থায় তাঁদের যাতে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয় তার আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে।