এবার লোকাল ট্রেনেও দেখা গেল বিপত্তি। মেট্রো রেল থেকে শুরু করে দূরপাল্লার ট্রেনে যতরকম সমস্যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। তাতে মানুষজন ভুগেছেন এবং ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে প্রাণও। এবার লোকাল ট্রেনের কামরার নীচ থেকে গলগল করে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেল। আর তাতেই ✨আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল হুগলির কামারকুণ্ডু স্টেশনে। লোকাল ট্রেনে টুকটাক বিপত্তি আগেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু চলন্ত ট্রেনের কামরার নীচ থেকে এভাবে ধোঁয়া বের হতে থাকবে এটা ভাবা যায়নি। যদিও তখন বিপদ বুঝে এবং যাত্রীদের চিৎকারে ট্র🗹েন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এই লোকাল ট্রেনটি হাওড়া থেকে তারকেশ্বর যাচ্ছিল। যাত্রীদের হট্টগোলে তা কামারকুণ্ডু স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। ট্রেনের বগির নীচ থেকে তখন ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
এই ঘটনায় অনেকে লাফিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। নিত্যযাত্রীরা ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকী তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে কামারকুণ্ডু স্টেশনে অনেক যাত্রী পড়েও যান। এই ঘটনায় যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। এক যাত্রী বলেন, ‘আজ জরুরি কিছু কাজ নিয়ে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু এখন যা অবস্থা তাতে কাজ মাথায় উঠল। যত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরা যায় ততই মঙ্গল।’ গৃহবধূ মধুছন্দা রায়ের বক্তব্য, ‘আমি এই ট্রেনের নিয়মিত যাত্রী। আজও উঠে যাচ্ছিলাম গন্তব্যে। কিন্তু যে ঘটনা ঘটল তাতে মনে হচ্ছে রেল দফতরটা উঠে গিয়েছে।’ প্রবীণ নাগরিক অম্বর সমাজপতির কথায়, ‘ট্রেন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে দেখে নেমে পড়লাম। খুব আতঙ্কি𝓀ত হয়ে পড়েছিলাম। রেল কর্তাদের একটু ভ🃏াবা উচিত।’
আরও পড়ুন: আরজি কর হাসপাতালে কি দু’জন অধ্যক্ষ? ওয়েবসাইটে জ্বলজ্বল করছে সন্দীপ–মানসের নাম
এই ঘটনার পর কামারকুণ্ডু স্টেশনে জোর আলোড়ন পড়ে যায়। রেল যাত্রীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বলে সোচ্চার হন নিত্যযাত্রীরা। পরিস্থিতির খবর পেয়ে রেল কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আর দ্রুত যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করেন। কামারকুণ্ডু স্টেশনে ট্রেনটি প্রায় আধ ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিল বলে যাত্রীদের সূত্রে খবর। মেরামত করার পরে সকাল ১১টা নাগাদ তারকেশ্বর পৌঁছয় লোকাল ট্রেনটি। রেল সূত্রে খবর, ব্রেক থেকে আগুনের ফুলকির জেরেই ধোঁয়া বের হচ্ছিল। রেলের মেন্টেনেন্স স্টাফ দ্রুত ত্র💧ুটি সারিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করেছে। ২০ মিনিট লোকাল ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল।