রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে তাণ্ডবের কারণে পূর্ব রেলওয়ে এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ জোড়া লোকাল ট্রেন এবং বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে। এর জেরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এই আবহে বেঙ্গল ইমানস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াহিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রতিবাদের নামে আর কোনও আন্দোলন করা চলবে না। তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্য সরকারের উচিত সমস্যা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।’উল্লেখ্য, মহানবি হজরত মহম্মদকে নিয়ে দিল্লির প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে অশান্ত বাংলার একাধিক জায়গা। শুক্রবার দিনভর বিভিন্ন জায়গায় এই নিয়ে চলে বিক্ষোভ, অবরোধ। এর জেরে গতকাল বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকল আজও। এই বিক্ষোভের জেরে দূরপাল্লার অন্তত ৪টি ট্রেন আজকে বাতিল করল রেল।দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শনিবার বাতিল করা হয়েছে টাটানগর-হাওড়া ইস্পাত এক্সপ্রেস। তাছাড়া বাতিল হয়েছে আদ্রা-হাওড়া শিরোমণি এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস ও ভদ্রক-হাওড়া এক্সপ্রেস। এদিকে একাধিক ট্রেনের সময়সূচিও বদল করতে বাধ্য হয়েছে রেল। হাওড়া-পুণে দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-তিতলিগড় কান্তাবাঞ্জি ইস্পাত এক্সপ্রেস, হাওড়া-দিঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের পরে ছাড়বে।এদিকে হজরত মহম্মদ বিতর্কে হিংসার ঘটনায় তৎপর হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। গতকাল গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক হিংসার ঘটনা সামনে আসে। সেই প্রেক্ষিতে ৭০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হিংসাত্মক বিক্ষোভ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি এবং পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। হাওড়া সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।