লকডাউনের মধ্যেই তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে আছড়ে পড়ল স্থানীয়দের বিক্ষোভ। ঘটনা বেলুড়ের ভোটবাগানের। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ তৃণমূল নেতার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ঘটনায় অনেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের আঁচ পাচ্ছেন। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বালাই না করে তৃণমূল নেতা তথা হাওড়া পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর রিয়াজ আহমেদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকশ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনে গরিব মানুষ অসম্ভব কষ্টে থাকলেও তৃণমূল নেতা তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। এই অভিযোগে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কয়েক শ মানুষ রাস্তায় নেমে আসায় ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে ভিড় সরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, যখন কাউন্সিলর ছিলাম তখন আমার দায়িত্ব ছিল। আমি তখন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এখন কাউন্সিলর নই, ফলে আমি কী ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াব। ঘটনায় অনেকে তৃণমূলের অন্তর্দন্দের আঁচ পাচ্ছেন। কারণ, বেশ কিছুদিন আগে এলাকায় টোটো চালকদের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে গুলি চলেছিল। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল রিয়াজের। যার জেরে দলীয় বৈঠকে জেলার ২ বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল ও বৈশালী ডালমিয়ার ধমক খেতে হয়েছে তাঁকে। সেই বিরোধের আঁচ এখনো ধিকি ধিকি জ্বলছে বলে মনে করছেন অনেকে।