ছাত্র সমাজের ঢাকা নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে আজ রাজ্যজুড়ে চলছে বিজেপির বনধ। সেই𝓰 বনধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ছড়িয়েছে। পুলিশ-বিজেপি কর্মী সমর্থক অথবা তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির খবর শোনা গিয়েছে। বনধকে সফল করতে একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। হুগলির মানকুণ্ডু স্টেশনেও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। সেই সময় অবরোধ সরানোর জন্য ট্রেনের হুইসেল বাজানোকে কেন্দ্র করে লোকোপাইলটের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন এ꧒ক পুলিশকর্মী।
আরও পড়ুন: ‘ওরা আসল আন্দোলনে জল ঢেলে দিয়েছে’, বিজেপিকে তোপ মমতা༒র
জানা গিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মানকুণ্ডু স্টেশনে আপ এবং ডাউন লাইনে রেল অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।অবরোধের জেরে দু’টি লাইনেই লোকাল ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে, বালুরঘাট এক্সপ্রেসও দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে দূরপাল্লার যাত্রীরা যেমন ভোগান্তিতে পড়েন তেমনিই লোকাল ট্রেনের যাত্রীরাও চরম দুর্ভোগে পড়েন। সব চেয়ে সমস্যায় পড়তে হয় অফিস যাত্রীদের। কারণ সকালে অফিস টাইম হওয়ায় ট্রেনের মধ্যেই অস্বস্তিতে পড়ে যান অ🌌ফিস যাত্রীরা। ঘটনায় জিআরপি এবং আরপিএফ অবরোধ সরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
পরে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। জানা যা💜য়, এরপরে এক পুলিশ কর্মী অবরোধ সরানোর জন্য সোজা লোকাল ট্রেনের চালকের কাছে যান। সেখানে তিনি চালককে হুইসেল বাজানোর জন্য অনুরোধ করেন। ওই পুলিশ কর্মীর যুক্তি ছিল হুইসেল বাজালে হয়তো অবরোধকারীরা সেখান থেকে সরে যাবে। কিন্তু, পুলিশ কর্মীর সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন রেল চালক। এনিয়ে চালকের সঙ্গে পুলিশ কর্মীর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখন লোকোপাইলট পুলিশ কর্মীকে বলেন, ‘আপনি আমাকে প্রোটোকল শেখাবেন না। আপনি অবরোধ সরাতে চাইলে সরান। কিন্তু, আমি এত মানুষকে অসুবিধায় ফেলতে পারব না।’ তখনই প্ল্যাটফর্মে জড়ো হয়ে যান প্রচুর যাত্রী।