ইডি–সিবিআই রাজ্যে বহুদিন ধরে সক্রিয়। তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা–মন্ত্রীকে জেলে পুড়েছে তারা। তারপরও যতগুলি নির্বাচন হয়েছে তাতে জিতেছে তৃণমূল 𓃲কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়েও সাফল্য আসেনি বিজেপির। তথ্য তাই বলছে। এবার দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। মাঝে দেড় বছর কেটে গেলেও আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সক্রিয় হয়ে উঠল। আর ইডির গাড়ি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারা এবং তল্লাশি দেখল বোলপুরের নিচুপট্টি। অনুব্রত মণ্ডলকে এখান থেকে নিয়ে যেতে শেষবার দেখেছিল সাধারণ 🅘মানুষ। এবার রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে এল তারা।
এদিকে চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে ইডির অফ🎃িসারদের আগমন দেখে ফের চমকে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা বাড়িটি ঘিরে রাখে কেন্দ্রীয় বাহিনী। চলে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান। তারপর দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব সেরে ইডির গোয়েন্দারা রাতে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। লোকসভা নির্বাচনে꧒র প্রাক্কালে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তথা দলের কোর কমিটির এক সদস্যের বাড়িতে এমন অভিযানে নিচুতলার তৃণমূল কর্মীদের মনোবলে ধাক্কা লাগবে বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও তা ঘটবে না বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন: ‘বা🅷🧔ংলায় ২৫টির বেশি আসন পেলে তৃণমূল সরকার ফেলে দেবে বিজেপি’, টিগ্গার মন্তব্যে বিতর্ক
অন্যদিকে এলাকার মানুষজনের মন্ত্রী সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকলেও টাকা পাওয়ার ঘটনায় সবাই একটু চমকে গিয়েছেন। এখন চন্দ্রনাথ সিনহার দায়িত্বে রয়েছে মুরারই, নলহাটি এবং বোলপুর বিধানসভা। সেখানে দলের হয়ে প্রচারে নামতে কর্মীরা অস্বস্তি বোধ করছেন বলেই সূত্রের খবর। শনিবার চন্দ্রনাথ সিনহা এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমেকে কিছু বলতে চাননি। এই ঘটনার পরে মন্ত্রীর পক্ষে সাংগঠনিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া সহজ হবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। একটা থমথমে ভাব তৈরি হয়েছে এলাকায়। আর এই বিষয়ে জেলা তৃ💛ণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী কোনও মন্তব্য করেননি।