গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। কামারহাটিতেও একই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাবে এক জনকে চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে রেখে মারধর করার অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের। তবে এই ধরনের ঘটনার জন্য সিপিএম এবং বিজেপির কাঁধেই দায় চাপালেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
আরও পড়ুন: কামারহাটি🌸তে দুষ্কৃতীদের হাতে সেলেব কাউন্সিলর শ্র꧋ীতমাকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ
তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, ‘তৃণমূলের ছেলেরা যদি যুক্ত থাকে তাহলে তারা এসব শিক্ষা নিয়েছে সিপিএম থেকে।’ তার কারণ ব্যাখ্যা করে মদন মিত্র বলেন, সিপিএম ৩৪ বছর ধরে শুধু গণপিটুনি এবং গণলুট করে গিয়েছে। এর পাশাপাশি বিজেপি ও সিপিএমকে একসঙ্গে নিশানা করে তিনি দাবি করেছেন, যারা এই কাজ করছে তারা আগে হয় সিপিএম অথবা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখন তারা তৃণমূলে মাথা গুঁজে দলকে নোংরা করার চেষ্টা করছে। মদন বলেন, ‘তৃণমূলের ভিতরে অনেক সিপিএম রয়েছে।’ গণপিটুনি প্রসঙ্গে মদন জানান, তৃণমূলের মধ্যে থেকেই সিপিএমের ছেলেরা এসব নোংরামি চালাচ্ছে। এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেꦆপ করা উচিত বলেই পরামর্শ দিয়েছেন মদন মিত্র। তাঁর পরামর্শ, যারা এই ধরনের কাজ করছে তাদের বাছাই করতে হবে। তারপর তাদের বিরুদ্꧑ধে ব্যবস্থা করতে হবে।
নিজের প্রসঙ্গে মদ🌞ন মিত্র দাবি করেছেন, জামা🌃 কাপড়ের মতোই হয় তাঁর মনও পরিষ্কার। তবে তাঁর আশঙ্কা তিনিও যে কোনওদিন আক্রান্ত হতে পারেন। তবে কাদের হাতে আক্রান্ত হতে পারেন পরোক্ষে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন মদন। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসন যতদিন আছে ততদিন কোনও ভয় নেই। আর তারপরই তাঁদেরকেও পিটিয়ে মারা হতে পারে।
তালতলা ক্লাব নিয়ে বলতে গিয়ে 🎐মদনের অভিযোগ, কয়েক দশকের ইতিহাসে এই ক্লাবে𝄹 শুরু গুন্ডামি হয়েছে। তাঁর দাবি, রাজ্যে এরকম অনেক ক্লাব রয়েছে যেখানে এসব হয়ে থাকে। তবে তারা কোথা থেকে এই সাহস পাচ্ছে? সেপ্রসঙ্গে মদনের দাবি, কেউ তাদের আশ্রয় দিচ্ছে, না হলে তারা কীভাবে এরকম করার সাহস পাচ্ছে। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন পুলিশ ঠিকমতো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী বললেই তারা পদক্ষেপ করছে। এই সমস্ত কারণেই লোকসভায় কামারহাটিতে খারাপ ফল হয়েছে বলে দাবি মদনের।