কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে বরাবরই খড়গহস্ত তিনি। যদিও তেমন কিছু তিনি করতে পারেননি। তার উপর আরজি কর হাসপাতালের ঘটন🔜ায় কলকাতা পুলিশ যাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছিল, তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে সময়ও লাগায় সিবিআই। আর চার্🌳জশিটে তাকেই মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করে সিবিআই। তাই এবার নরমে–গরমে কলকাতা পুলিশকে বার্তা দিলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি রাজভবনের বাসিন্দা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কসবা কাণ্ডের পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজ্য পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের কাণ্ডকারখানার প্রেক্ষিতে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সম্পর্কে নবান্নের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু কসবা কাণ্ডের পর কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে নরমে–গরমে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার তিনি বলেন, ‘একাংশ অপরাধী, একাংশ রাজনীতির দ্ꦇবারা প্রভাবিত, একাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত। তার জন্য সমস্ত পুলিশ বাহিনীকে দোষ দেওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: আলু–পেঁয়াজ থেকে সবজির দাম বৃদ্ধি চরমে, একাধিক বাজারে হানা দিল টাস্ক ফোর্স, দাম কমল?
রাজ্যপালের এই মন্তব্য নিয়েও কড়া জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রাজভবনের এক মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ কিছুদিন আগে উঠেছিল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় বয়ে গিয়েছিল। ওই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসে এবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘পুলিসের বিরুদ্ধে তো উনি বলবেনই। কারণ ওনার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভ𝄹িযোগ আছে। আর সেই অভিযোগের তদন্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। উনি তো সংবিধানিক রক্ষাকবচ নিয়ে নিজেকে সেই তদন্তের বাইরে রেখেছেন। আর অন্যের ক্ষেত্রে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাচ্ছেন। তাই ওনার পুলিশের উপর জাতক্রোধ। তাই ওনার ব্যক্তিগত রাগটা পুলিশের উপর মেটাচ্🌜ছেন।’
কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের এই নরমে–গরমে খেলা ভালভাবে নেয়নি বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিজেপির সাংসদ। বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘আমরা রাজ্যপালের ভরসায় পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি করছি না। আমরা আমাদের স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়ে রাজনীতি করছি। তৃণমূল কংগ্রেসের এই খুন, রাহাজানি, অত্যাচার, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি, সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। রাজ্যপাল তাঁর যে অভিমত, সেটা মানুষের সামনে কি বলেছেন? তাঁর সে স্বাধীনতা আছে। কিওন্তু তার জন্য় রাজ্যপাল কী করছেন?’