কীভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে, তা সোমবার ঘোষণা করল না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, আগামী দু'একদিনের মধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে দেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করছে পর্ষদ, সংসদ এবং শিক্ষা দফতর। দু'একদিনের মধ্যেই তা জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই, পড়ুয়ারা যাতে বিপদে না পড়ে, তাদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, পড়ুয়াদের যাতে কোনওরকম মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা এবং দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। তবে গুরুত্ব নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলে গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাতে কিছুটা হেরফের হয়েছে। বিভিন্ন মহলের বক্তব্য যে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এখন নবম শ্রেণির পাঠ্যক্রম থাকে না। দুটি পরীক্ষাকে একই মাপকাঠিতে ফেলা যায় না। মাধ্যমিকের জন্য সাধারণ পড়ুয়ারা আরও বেশি প্রস্তুতি নেয়। ফলে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অগ্রাধিকার দিলে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ফাঁক থেকে যাবে। আবার দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষেও মত দেয়নি সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষত করোনাভাইরাসের দাপটে এবার মূলত অনলাইনেই হয়েছে সেই মূল্যায়ন। সেই পরিস্থিতিতে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় কিছুটা বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে বিশেষ নিয়মে দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নম্বর যোগ করা হবে। তার ভিত্তিতে মাধ্যমিকের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে আবার প্র্যাক্টিক্যাল (ল্যাবরেটরি-ভিত্তিক বিষয়ের ক্ষেত্রে ৩০ নম্বর) এবং প্রোজেক্ট (ল্যাবরেটরি-ভিত্তিক বিষয় না হলে ২০ নম্বরের) মিলিয়ে স্কুল থেকে যে নম্বর জমা দেওয়া হয়, তাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ওই মহলের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল বা প্রোজেক্টের প্রাপ্ত নম্বরের পাশাপাশি মাধ্যমিকের নম্বরও গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।