করোনাভাইরাসের দাপট পুরোপুরি কমেনি। তারইমধ্যে বৃহস্পতিবারই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১,০০০ ছাড়িয়ে গেল। তবে মালদহে বেশি খুব বেশি সংখ্যক এলাকায় লকডাউনের পথে হাঁটল না রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘এগিয়ে বাংলা’ ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মালদহের চারটি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। সেগুলি হল - ইংরেজবাজার পুরসভা, পুরনো মালদা পুরসভা এবং কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লকের একাংশ। এছাড়াও কালিয়াচক-১ ব্লকের আলিপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতকেও কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।সেই নয়া তালিকার কয়েক ঘণ্টা পরই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় মালদহে ৪৮ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তার জেরে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,০০২। তবে ওই সময়ের মধ্যে কারোর মৃত্যু হয়নি। তার ফলে আপাতত মালদহে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ছ'জনের এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৬১ জন।সেই সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ওই এলাকাগুলিতে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সাত দিন কড়া বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বলে মঙ্গলবারই নবান্নের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে কনটেনমেন্ট জোনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না। সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস, বাজার, কলকারখানা এবং বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। যাবতীয় যান চলাচলে সম্পূর্ণ বিধিনিষেধ জারি হবে। অনাবশ্যকীয় কাজ বা গতিবিধি সম্পূর্ণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চলবে। একইসঙ্গে কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের অফিসে না গেলেও চলবে বলে জানানো হয়েছে। যতটা সম্ভব নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং জরুরি জিনিসপত্রের হোম ডেলিভারির বন্দোবস্ত করবে স্থানীয় প্রশাসন।