ಌ দুর্গাপুজো প্রাক্কালে হরিশ্চন্দ্রপুরে আজ, রবিবার সকালে শিউরে উঠল বাংলা–বিহার সীমান্তবর্তী এলাকার কুশিদা অঞ্চলের মানুষজন। কারণ ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের মুখপোড়া মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার নসরপুর–চোচপাড়া পুলবাঁধ এলাকায়। অ্যাসিড ও লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। খবর পেয়ে অকুস্থলে আসে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় সেই মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে।
✤স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকালে চাষ করতে বেরিয়ে মাঠে পৌঁছতেই এমন ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান কয়েকজন কৃষক। আর তা দেখেই গ্রামের অন্যান্যদের খবর দেওয়া হয়। সেখানে অনেকে জড়ো হন। আর দেখতে পান, ওই মহিলার দেহে একাধিক চাকু দিয়ে কোপানোর দাগ রয়েছে। তবে ওই মহিলার এখনও কোনও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। বয়স ৩৫ বছর হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে সন্দেহের বিষয় হল, ঘটনাস্থলের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল অ্যাসিড, চাকু, ব্যবহৃত কন্ডোম এবং পোড়া কাপড়–সহ অন্যান্য জিনিস। তখন খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশও এই দৃশ্য দেখেই তাদের প্রাথমিক অনুমান গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
💛এই মহিলা ওই গ্রামের বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু মুখ অ্যাসিড দিয়ে বিকৃত করে দেওয়ায় চিনতে পারা যাচ্ছে না। ব্যবহৃত কন্ডোম দেখে মনে করা হচ্ছে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তবে এই ৩৫ বছরের মহিলা অবিবাহিত বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কেউ নিখোঁজ এমন অভিযোগ পুলিশে জমা পড়েনি। তাহলে ওই মহিলা কি অন্য গ্রামের? উঠছে প্রশ্ন। এত রাতে ধানক্ষেতে কেন এলেন ওই মহিলা? এইসব প্রশ্নের মধ্যেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। এই দেহটি দেখে স্থানীয়দের অনুমান গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ﷽বুলেট মোটরবাইকে উঠে স্টান্ট দেখালেন কংগ্রেস সাংসদ, বহরমপুরে অন্য মেজাজে অধীর
🉐আর হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সীমান্ত রয়েছে। বিহার–বাংলার সীমান্ত এলাকা হওয়ায় মহিলাটি বিহারেরও হতে পারে। ওই মহিলা স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা নাকি ভিন রাজ্যের বাসিন্দা সেটা এখনও পুলিশ জানতে পারেনি। ইতিমধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে ওই মহিলা অভিযুক্তদের পূর্বপরিচিত হলেও হতে পারে মনে করা হচ্ছে।