শুরু হয়েছিল ১০ দিন দিয়ে। ভরা সাংবাদিক বৈঠকে ত��া পালটে হল ন'দিন। রাতে আবার তা কমে দাঁড়াল সাতদিন। সম্পূর্ণ লকডাউনের দিন নির্ধারণে মঙ্গলবার যেভাবে হাবুডুবু খেল রাজ্য সরকার, তা নিয়ে একাধিক ♏প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন : করোনার সময় নাগাড়ে রোগী সেবা, হাসপাতালে ভরতি ফুয়াদ হা💖লিম
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে জানান, আগামী অগস্টে রাজ্যে ১০ দিন সম্পূর্ণ লকডাউন হবে। আগামী ২ এবং ৩ অগস্ট লকডাউন থাকবে। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন, ৩ তারিখ রাখি পূর্ণিমা। সেজন্য ঠিক হয়, ২ ও ৫ তারিখ সার্বিক লকডাউন হবে। বাকি যে দিনগুলিতে লকডাউন ঘোষণা করেন, সেগুলি হল - ৮, ৯, ১৬, ১৭, ২২, ২৩, ২৯ এবং ৩০ তারিখ। যদিও তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় প্রশাসনিক কর্তাদের উপর ‘রেগে’ যান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও বলেন, ‘লোকের কাছে যেন ভুলভাল না যায়, আমি কিন্তু অনꦚেকবার করে বললাম।’
আরও পড়ুন : করোনা জুজু, উপসর্গ🐷 থাকা ধৃতদের জন্য ‘আইসোলেশন লকআপ’-এর পরিকল্পনা কলকাতা পুলিশের
সেই মন্তব্যের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, তারিখ নিয়ে কিছুটা ‘কনফিউশন’ হয়েছে। তাই নতুন করে ‘ফাইনাল’ তারিখ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আরও দু'তিনটে প্রোগ্রাম আমাদের নলেজে এল এক্ষুণি। কারণ ক্যালেন্ডারে তো সবগুলি লেখা থাকে না। নতুন ডেট আপনাদের দিচ্ছি। ওর মধ্যে দু'তিনটে উৎসব পডꦆ়ে গিয়েছে। কারণ আপনারা তো জানেন, গভর্নমেন্ট ছুটি ছাড়া অন্যগুলি লেখা থাকে না। সেজন্য গণেশ চতুর্থী একটা পড়ে গিয়েছে। ওদিকে, মহরমের একটা পড়ে গিয়েছে। সুতরাং, এগুলি অলওয়েজ লেখা থাকে না। মহরমটা লেখা থাকে, নো ডাউট! কিন্তু আমাদের ক্যালেন্ডার কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছে।’
আরও পড়ুন : মোট করোনা কেসের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ছাড়াল, মৃত ৩৪১৯৩
'ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আমাদের টেকনিকাল মিসটেক হয়েছিল' বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী মাসের ২, ৫, ৮, ৯, ১৬, ১৭, ২৩, ২৪, ৩১ তারিখ সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে। অর্থাৎ গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্যে ২২ অগস্ট (রাজ্যর ছুটির তালিকায় থাকে না) এবং মহরম (রাজ্যর ছুটির তালিকায় থাকে) উপলক্ষ্যে ৩০ অগস্টে সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। তবে একইসঙ্গে মমতা স্বীকার করে নেন, ‘ক্যালেন্ডারের তো দোষ নয়, দোষটা আমাদেরই।’ সেই𒊎 দিনগুলিই ‘ফাইনাল’ হিসেবে বিবেচনা করার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। পরে নবান্নের তরফে স🌞রকারি বিজ্ঞপ্তিতেও সেই দিনগুলি দেওয়া হয়।