কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিলে বিজেপির লোগো লাগাতে বলছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে প্রশাসনিক সভা থেকে এই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।এদিন মমতা বলেন, ‘আমরা ২০১১ সালের পর থেকে পঞ্চায়েত ও পৌর এলাকা মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ লোকের বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। এখনো যারা আবেদন করেছেন, আমরা কেন্দ্রের কাছে ২৯ হাজার কোটি টাকা পাই। ইলেকশনের সময় ভোট করতে আসে। আর ধর্ম – ধর্মে ভেদাভেদ করতে আসে। তার পরে আর বাংলায় টাকা দেয় না। তাই আজ ঘরগুলো অনেকের দাবি থাকা সত্বেও হচ্ছে না। যেদিন টাকা আসবে আমরা সেদিন নিশ্চই করে দেব’।মমতার অভিযোগ, ‘মনে রাখবেন, কেন্দ্র থেকে মোট ৭৬টা দল এসেছে এই ২ বছরে। তাও টাকা দিচ্ছে না। আমি সম্প্রতি বাংলার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাছে মিটিং করে এসেছি। তিনি বললেন, আমাদের অফিসাররা তাদের অফিসারদের সঙ্গে বসে একটা সমাধান বার করবে। এই টাকা কাদের টাকা? এই টাকা কেন্দ্রের টাকা নয়। কেন্দ্র যে টাকা তুলে নিয়ে যায় তার কিছুটা শেয়ার দেয়। আর বাদবাকি সব রাজ্যের টাকা। আমাদের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছো আর সেই টাকা আমাদের দেবে না কেন এটা কখনও হতে পারে’?কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘১০০ দিনের কাজে গরিব লোকেদের টাকা দেয় না, লজ্জা করে না। ঘর তৈরির টাকা দেয় না, লজ্জা করে না। রাস্তা তৈরির টাকা দেয় না, লজ্জা করে না। বলে সব গেরুয়া রং করতে হবে। আরে গেরুয়া রং তো সাধুরা পরে আমরা তাকে সম্মান জানাই। কিন্তু কেন বিজেপির কালারে সব কালার হবে? এক টাকা প্রোজেক্টে দিলেও বলছে বিজেপির পার্টির লোগো লাগাতে হবে। আমি গরমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার লোগো লাগাতে বাধ্য, আমি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো লাগাতে বাধ্য কিন্তু পার্টির লোগো লাগাতে বাধ্য নই’।জবাবে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘উনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে আসার পর কেন্দ্র ও রাজ্যের আধিকারিকদের বৈঠকের কী ফল বেরিয়েছে কেউ তা জানে না। এর মাঝে তিনি নতুন করে অভিযোগ করতে শুরু করলেন। উনি মিড ডে মিলের টাকায় বগটুইয়ে ক্ষতিপূরণ দেবেন, এটা তো কেন্দ্রীয় সরকার মেনে নেবে না। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। এভাবে সাধারণ মানুষের করের টাকা তারা অপচয় হতে দিতে পারে না।’