রামপুরহাট থেকে সিউড়ি যাওয়ার পথে বাস–অটোর ভয়াবহ সংঘর্ষে ৯জন মহিলা মারা গিয়েছিলেন। এবার মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অটোর চালক–সহ ৯ জন মহিলা যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা দুঃখপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটও করেন মুখ্যম♏ন্ত্রী। আর ঘোষণা করেন, মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হবে। এমনকী শেষকৃত্যের জন্যও প্রতি পরিবারকে দেওয়া হবে ২ হাজার টাকা।
ঠিক কী টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন দুঃখপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লেখেন, ‘বীরভূমের ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। আট মহিলা–সহ নয়জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। প্রত্যেকের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। বীরভূমের ঘটনায় মৃতদের পরিবারপিছু দু’লাখ টাকা করে অর্থ সাহায্য দে🥃ওয়া হবে। সমব্যথী প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ পাবে প্রত্যেক পরিবার। এছাড়াও প্রত্যেকের শেষক💮ৃত্যের জন্যও দু’হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। এছাড়াও অতিরিক্ত বিশেষ অনুদানও মিলবে সরকারের পক্ষ থেকে।’
প্রধানমন্ত্রী ঠিক কী টুইট করেছেন? এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় এক শোচনীয় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবরে আমি ম🐭র্♛মাহত। আহতদের জন্য রইল প্রার্থনা। নিহতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে প্রধানমꦕন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে দেওয়া হবে ২ লক্ষ টাকা। আহতদের প্রত্যেকে পাবেন ৫০ হাজার টাকা।’ প্রধানমন্ত্রীকে টুইট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, বীরভূমের মল্লারপুর থা🌠নার মেটেলডাঙা গ্রামের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে বাস–অটোর ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পরেই বাসের চালক এবং খালাসি পলাতক। মৃত আটজনই অটোর যাত্রী ছিলেন। মৃত্যু হয়েছে অটোরচালকেরও। মাঠে চাষের কাজ সেরে একটি অটোতে চড়ে রামপুরহাট থানার পারকান্দি গ্রামে ফিরছিলেন আটজন শ্রমিক। এই আটজনই আদিবাসী মহিলা শ্রমিক। অটো রামপুরহাটের দিকে আসছিল। তখন সিউড়িমুখী দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার একটি বাস ওভারটেক করতে গিয়ে অটোতে ধাক্কা মারে। ছিটকে গিয়ে রাস্তার উপর পড়েন অটোর যাত্রীরা। তারপর তাঁদের পিষে দিয়ে চলে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই আটজন মহিলা শ্রমিকের মৃত্যু হয়।