পড়ুয়াদের পোশাক তৈরির জন্য ৮ মাস আগে ছিট দেওয়া হয়েছিল স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত নতুন পোশাক হাতে পায়নি বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। আবার যে সমস্ত পড়ুয়ারা পোশাক হাতে পেয়েছে তাদের অনেকের পোশাক ছোট বড় হয়েছে। যার ফলে পু🃏রনো পোশাক পরে তাদের স্কুলে আসতে হচ্ছে। এর জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উপরেই দায় চাপাচ্ছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এমনই অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার উলবেরিয়া ১ নম্বর ব্লকের কয়েকটি প্রাথমিক স্কুলে।
আরও পড়ুন: অনেক স্কুলই পোশাক পায়নি, পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম দেওয়ার সময়সীমা ♌বেঁধে দিল নবান্ন
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাক তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। তাদের কাপড়ের ছিট দেওয়া হয়। সেই মতো তারা মাপযোগ নিয়ে পড়ুয়াদের পোশাক তৈরি করে। জানা গিয়েছে, ওই সমস্ত স্কুলগুলির পড়ুয়াদের পোশাক তৈরির জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা ছাত্রছাত্রীদের পোশাকের মাপ নিতে আসেন। তারপর পোশাক বানিয়ে এপ্রিল মাসের গোড়ার দিকে স্কুলে পৌঁছে দেন। কিন্তু উলুবেড়িয়ার ওই সমস্ত স্কুলের ক্ষেত্রে তা হয়নি। অভিযোগ, এ বছর বহু পড়ুয়া নতুন পোশাক হাতে পায়নি। আবার যারা পোশাক পেয়েছে তা ছোট অথবা বড়। ফলে সেগুলিও পড়ুয়ারা পরতে পারছে না । যেমন সমরুক নাজিরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১৯ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে এখনও পর্যন্ত নতুন পোশাক পরতে পারছে মাত্র ২০ জন। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর কয়েকদিন আগে বস্তায় করে পড়ুয়াদের পোশাক দিয়ে গিয়েছিল স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ২০ জনের গায়ে পোশাক ঠিকমতো হলেওꦓ বাকিগুলি ছোট-বড় হচ্ছে। আবার অন্য একটি স্কুলের দাবি, ওই স্কুলের অনেক জন পড়ুয়া এখনও নতুন পোশাক পায়নি। পুজোর পর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও দেওয়া হয়নি।