আচমকা আগুন চম্পাহাটি হারালের বাজি বাজারে। আগুনে ভস্মীভূত একাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী বাজির দোকান ও কারখানা। বুধবার সকালে পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই বাজিগ্রাম। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আগুন লেগেছে দেখে স্থানীয়রাই খবর দেয় দমকলে। দমকলের ইঞ্জিন আসার আগে তাঁরা নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা ༺কর♏তে থাকেন। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। দমকলের দুটি ইঞ্জিন পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে।
আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস✱্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। চম্পাহাটির হারালে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে বাজি বাজার। রয়েছে অনেক বাজি কারখানা। দাহ্য বস্তু–ভর্তি ওই এলাকায় যাতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার চেষ্টা শুরু করে দমকল। হাত লাগান স্থানীয়রাও। আধ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের আর একটি ইঞ্জিন। বারুইপুর থানার আধিকারিকদের নিয়ে হাজির হন বারুই🦹পুরের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার। তাঁরা দ্রুত স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানিদের এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান।
হারালের এই বাজি বাজারের প্রায় প্রতিটি দোকানেই থাকে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। তা সত্ত্বেও কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও পরিষ্কার জানা যায়নি। যদিও এ ব্যাপারে বারুইপুরဣ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু জানান, বারবার বলা সত্ত্বেও অবৈধভাবে অতিরিক্ত বাজি মজুত করা হয় এখানে। পুরোটাই হয় দমকলের নির্দিষ্ট নিয়ম না মেনে। সে কারণেই আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনায় 💯মাথায় হাত পড়েছে বাজি ব্যবসায়ীদের। এক বাজি ব্যবসায়ীর কথায়, ‘এ বছর আমাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। করোনার জন্য কোনও ক্রেতা আসছেন না। তার পর বলছে আদালত, রাজ্য সরকার এবার বলছে বাজি না ফাটাত൩ে। আর এদিকে আমরা দোকান সাজিয়ে বসে রয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগের তুলনায় বাজি অনেক কম তৈরি করা হয়েছে। তাও বিক্রি হচ্ছে না। তার পর এভাবে আগুন লাগল। আমরা কোথায় যাব, কী করব, বুঝে পাচ্ছি না।’