কিছুদিন আগে হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর জন্য তিন তরুণকে কান ধরে ওঠবস করিয়েছিলেন তৃণ🔯মূল বিধায়ক স্বপন দেবনাথ। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। আর এবার দেরিতে আসায় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণিকে কড়া ধমক দিলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। অভিযোগ, দেরিতে আসায় এক শিশুকে খাবার দিতে চাননি দিদিমণি। বুধবার সেই দিদিমণি দেরিতে আসায় তাঁকে ধমক দেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন: ‘স্ꦗযার বললে সরকারি আধিকারিকরা মাথায় ওঠেন’, কী বললে কাজ হবে বলে দিলেন TMC বিধায়ক
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে হুগলিতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮০ হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হলেও তিনটি বিধানসভা এলাকায় হেরেছে তৃণমূল। তার মধ্যে একটি হলো চুঁচুড়া। বিধায়ক আগেই জানিয়েছিলেন এই এলাকাগুলিতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কারণ জানার পাশাপাশি জন সংযোগ করা হবে। তার খোঁজ নিতেই এদিন জনসংযোগ শুরু করেছেন চুঁচুড়✨ার তৃণমূল বিধায়ক। পাঁচদিন তাঁর বিধানসভা এলা🎉কায় চলবে এই কর্মসূচী। পূর্ব সিদ্ধান্ত মতোই এদিন কোদালিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে নিয়ে দেবীপুরে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন বিধায়ক। তিনি সেখানেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারেন, একটি শিশু একদিন দেরি করে স্কুলে যাওয়ায় তাকে বকাঝকা করেছিলেন দিদিমণি। তারপর থেকে আর সেই শিশু স্কুলে যায়নি, খাবারও পায়নি। প্রায় ৫ মাস ওই শিশু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যায়নি।
এই অভিযোগ শোনার পরেই বিধায়ক অসিত মজুমদার কেন্দ্রে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন দিদিমণি স্বর্ণ মুখোপাধ্যায় নিজেই দেরি করে পৌঁছেছেন। তা দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিধায়ক। তিনি দিদিমণিকে কড൲়া ভাষায় ধমক দেন। আর জানান, যেহেতু তিনি দেরি করে এসেছেন তাই এদিন তিনি হাজিরার খাতায় সই করতে পারবেন না। বিধায়ক তার কাছে জানতে চান কেন তিনি শিশুর বিষয়ে খোঁজখবর নেননি। তিনি দিদিমণির উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি বাচ্চাটাকে কোলে করে নিয়ে যাবেন। আপনি কেন বাচ্চার বাড়ি গিয়ে তাকে নিয়ে যাননি। আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। তারপর বিধায়ক তাকে হাতজোর করে অনুরোধ করেন অভিযোগ করার সুযোগ দেবেন না। বাচ্চাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবেন না।’
এলাকাবাসীদের একাংশও দিদিমণির বিরুদ্ধে বিধায়কের সামনে অভিযোগ করেন। যদিও দিদিমণি বলেন, ‘বিধায়ক অভিভাবকের মতো। ভুল হলে বকবেন।’ এদিকে, এদিন সকালেই ইটখোলা গ্রামে জনসংযোগে গিয়ে বꦬিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিধায়ককে। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। বিধায়ক তাদের আশ্বাস দেন কাজ করা হবে।