দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। এই ঘট✨নাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় তার ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃত ছাত্রের নাম উচ্ছ্বিসমান সামন্ত। ঘরের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন ছাত্রটি। তার দেহে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই ছাত্রের দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে মহেশতলা থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: JU ছജাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্য🥃ু, র্যাগিং না সম্পর্কের টানাপোড়েন, তদন্তে কমিটি
জানা গিয়েছে, সামন্ত হলেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা। তিনি মহেশতলার অন্তর্গত পুটখালি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থতম বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার সূত্রে তিনি মহেশতলাতে থাকতেন। সেখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে তিন বন্ধু মিলে একসঙ্গে থাকছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশ তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই ভাড়া বাড়িটি কলেজের কাছেই অবস্থিত। তার বাকি দুই বন্ধুর দাবি যে বুধবার সন্ধ্যার আগে থেকেই তারা বাড়ির বাইরে ছিলেন। তবে সেই সময় সামন্ত একাই ঘর🐻ে ছিলেন। ফিরে এসে তারা ওই ছাত্রকে খাটের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় দেখেন। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন তার সহপাঠীরা। তখন তারা অন্যান্য লোকজনদের ডাকেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মহেশতলার পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তখনও বেঁচে ছিলেন ওই ছাত্র। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের।
যদিও কীভাবে ছাত্রের মৃত্যু হল সে বিষয়ে এখনও কিছু জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। তবে সামন্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সে ক্ষেত্রে পড়াশোনার কোনও চাপ ছিল কিনা বা তিনি মাদক সেবন করতেন কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। 𒊎একইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি দুই বন্ধু এবং অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর কারণ জানার জন্য মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।