দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রাজ্যে এসেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা। সেই টাকা পুরোপুরি কাজে লাগাতে চায় রাজ্য সরকার। সেখানে কোনও প্রশ্ন উঠুক চায় না নবান্ন। তাই প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার কাজে নজরদারি করতে এবার বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করল রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। এমনকী ৯ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন করে ফেলেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। এই টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান করা হয়েছে পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পি উল্গানাথানকে। তিনি আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় কাজ করে এসেছেন। তবে তিনি ছাড়া পঞ্চায়েত দফতরের আরও আধিকারিকরা টাস্ক ফোর্সে থাকছেন।কেন এই টাস্ক ফোর্স গঠন? প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে সমস্যা সমাধানে এবার বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকারি পরিষেবা নিয়ে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে তাই এই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। যদিও কয়েকটি অভিযোগ উঠতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের মধ্যে যাতে ক্ষোভের সঞ্চার না হয় সেটা দেখতেই এই বিশেষ উদ্যোগ বলে সূত্রের খবর। এই টাস্ক ফোর্স ইতিমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে। ঠিক কী নির্দেশিকা জারি হয়েছে? পঞ্চায়েত দফতর ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই বিশেষ টাস্ক ফোর্স মূলত প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার উপর নজর রাখবে। যাতে এই প্রক্রিয়া দ্রুত কার্যকরী হয়। পাশাপাশি উপভোক্তাদের পক্ষ থেকে যাতে কোনও অভিযোগ না আসে এবং প্রত্যেকটি পর্যায়ে যাতে নিখুঁতভাবে কাজ করা যায় তার জন্যই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করা, জব কার্ড ম্যাপিং, গ্রাম সভার বৈঠক আয়োজন করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ খতিয়ে দেখবেন এই টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।আর কী জানা যাচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, প্রত্যেক জেলায় সমীক্ষা, উপভোক্তাদের অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য, এবং কাজের বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখবে এই টাস্ক ফোর্স। অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত জেলায় জেলায় পরিদর্শনও করবেন এই টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি জেলায় একজন করে আইএএস এবং ডব্লিউবিসিএস পর্যায়ের অফিসারকে নিয়োগ করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। আর প্রত্যেক বিডিও, এসডিও এবং জেলাশাসকের অফিসে বাধ্যতামূলকভাবে অভিযোগ জানানোর জন্য কমপ্লেন বক্স রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এসডিও অফিসে কন্ট্রোল রুম খুলতে হবে। সেটা এলাকার মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে।