আগামী ২৩ নভেম্বর ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে। এই ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে আছে নৈহাটি। আর এই নৈহাটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজিত রক্তদান শিবিরে দেখা গেল কংগ্রেস প্রার্থীকে। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে নৈহাটিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের রক্তদান শিবিরে কংগ্রেস প্রার্থী কেন? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্ব🐼স্তিতে পড়ে গিয়েছে হাত শিবির। যদিও এটা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে বিজেপি ‘উপনির্বাচনেও ইন্ডিয়া জোট’ বলে খোঁচা দিয়েছে।
এদিকে নৈহাটি উপনির্বাচনের আগে থেকে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপির দ্বৈরথ লেগে আছে। অর্জুন সিং অভিযোগ করেন, ত𝄹াঁকে রাশিয়ান রাসায়নিক প্রয়োগ করে মারার চক্রান্ত করা হচ্ছে। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ পার্থ ভৌমিক দাবি করেন, বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে খুন করতে বিহার থেকে গ্যাং আনছেন অর্জুন 🌞সিং। এই আবহে মঙ্গলবার নৈহাটির অন্তর্গত মামুদপুর অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত হন নৈহাটি উপনির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী পরেশ সরকার। তখনই বিতর্ক শুরু হয়। পরেশবাবুর অবশ্য দাবি, তিনি অনেক বছর ধরেই রক্তদান শিবিরের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: মেয়ের বিয়ে প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে দিতে রাজি হননি বাবা, কুপিয়ে খুন সবজি ব্যবসায়ীকে
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসে রক্তদান শিবিরে যাওয়া নিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তাহলে কি কংগ্রেস–তৃণমূল কংগ্রেস জোট হল? ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন কি এই দু’দল জোট করে লড়বে? এসব প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি পরেশ সরকার। জেলার নেতারা বিষয়ট🦹ি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আর প্রার্থী পরেশ সরকার বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক পরিচয়𒆙 ছাড়াও আর একটা পরিচয় আছে। আমি রক্তদান আন্দোলনের বহু বছর ধরে একজন সৈনিক। এই নিয়ে আমি ১৫৩ বার রক্তদান করেছি। রক্তদান শিবিরে অন্তত দলের রং বিচার করা উচিত নয়।’