খাস নন্দীগ্রামে দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে মুখ খুলে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। বৃহস্পতিবার সন্ধ♐্যায় নন্দীগ্রামে নিহত নিশিকান্ত মণ্ডলের স্মরণসভায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিন।’
এদিন সৌমেন মহাপাত্রকে বলতে শোনা যায়, ‘সব সময় বাইরের লোকের কী প্রয়োজন আছে? বাইরের লোক এলে কী হয় জানেন? বিড়ালের পিঠে ভাগের দশা হয়। তাই নিজেদ🌟ের দ্বন্দ নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেবেন। সৌমেন মহাপাত্রের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হবে না’।
এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক দলেই সাময়িক অন্তর্দ্বন্দ থাকে। ভারতীয় জনতা পার্টির মিটিংয়ে তো দেখেছেন চেয়ার নিয়ে মারপিট হচ্ছ🤪ে। তাদের নেতারা বলছেন, লাঠিপেটা করবে। মাটির নীচে ঢুকিয়ে দেবে। সেটা কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসে নেই। অল্পবিস্তর মতান্তর যা আছে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে মিটে যায়’।
অনুব্রত মণ্ডলের রাঁধুনিকে তলব করল সিবিআই, সুকন্যাকে আবার পেলেন নোটিশ
প্রশ্ন উঠছে, বাইরের লোক বলতে এখানে কাদের বোঝাতে চাইলেন সৌমেন মহাপাত্র? শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে নন্দীগ্রাম ไআন্দোলনের কৃতিত্ব নিজেদের হাতে রাখতে কুণাল ঘোষ, দোলা সেনদের দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২ বছরে নন্দীগ্রামে একাধিক সভা করেছেন তাঁরা। উলটে স্থানীয় নেতা শেষ সুফিয়ান সম্প্রতি দলনেত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন। তবে কি এখানে বাইরের লোক বলতে কুণাল – দোলাদের বোঝালেন সৌমেন মহাপাত্র। কিন্তু কৌশলে নিজের নাম বলে চাপা দিতে চাইলেন বিতর্ক।