রাজ্যের অনতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হল সুন্দরবন। সেই সুন্দরবনে পরিবেশ আইনকে উপেক্ষা করে ব্যাঘ্র প্রকল্পের গা ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে একের পর এক বিলাসবহুল রিসোর্ট। এনিয়ে মামলা গড়িয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালতে। সেই সংক্রান্ত মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালত একটি বিলাসবহুল পর্যটন রিসোর্টের অধিকাংশ অংশ ভেঙে ফেলার 💮নির্দেশ দিয়েছে। যদিও এই নির্দেশের পরেই সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর করেনি রাজ্য প্রশাসন। নবান্নের এক কর্তা জানিয়েছেন, পরিবেশ আদালতের নির্দেশের প্রতিলিপি পাওয়ার পরে এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে।
সুন্দরবনে পরিবেশবিধি যেভাবে ভাঙা হচ্ছে তা নিয়ে আশ🔴ঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, পরিবেশ আইনকে উপেক্ষা করে সুন্🏅দরবন প্রকল্পের গা ঘেঁষে হোটেল রিসোর্টের পাশাপাশি সরকারি পর্যটন আবাসন তৈরি করা হচ্ছে। এনিয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মীরা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছিল পরিবেশ আদালত। কোস্টাল রেগুলেটরি জোন বা উপকূল বিধির তোয়াক্কা না করেই উপকূলের বুকে কীভাবে পর্যটন আবাসন তৈরি করা হল? তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কোনও উত্তর পরিবেশ আদালতকে দেওয়া হয়নি। ফলস্বরূপ দুলকির ওই রিসর্টের একাংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে জাতীꦅয় পরিবেশ আদালত।
যদিও রিসর্টগুলি গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মদত রয়েছে বলেই অভিযোগ অনেকের। রাজ্যের পরিবেশ দফতরের প্রাক্তন এক আধিকারিক বলেন, সুন্দরবন এবং উত্তরবঙ্গের তরাইয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো যে সমস্ত রিসোর্ট গজিয়ে উঠেছে সেগুলি অধিকাংশ রাজনৈতিক মদতে। চলে ফলে এই অবস্থায় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সুন্দরবনের দুলকি এলাকায় বেআইনি নির্মাণ হিসেবে পরিচিত ওই রিসোর্টটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। রাজনৈতিক নেতাদের প্রশ্রয়ে নিয়ম লঙ্ঘণ করে বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবেশবিদ স♔ুভাষ দত্ত বলেন, বাসন্তী থেকে গোসাবা পর্যন্ত সুন্দরবনের বহু বেসরকারি হোটেল নিয়ম না মেনে তৈরি করা হয়েছে। অথচ রাজ্য সরকার সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মুনাফা এবং পর্যটনের প্রসারের দিকে নজর দিচ্ছে।