চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসকদের নিয়োগ এবং অবসরের বয়স নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় মেডিক্যাল অফিসারদের নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা বাড়൲িয়ে ৬৭ বছর করা হচ্ছে। এতদিন তা ৬২ বছর ছিল। সেইসঙ্গে চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসকদের অবসরের বয়সও বাড়ানো হয়েছে। এবার থেকে তাঁরা ৭০ বছরে অবসর নিতে পারবেন। যা এতদিন ছিল ৬৫ (যা আগে বাড়িয়েই ৬৫ করা হয়েছিল)। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, রাজ্যে চিকিৎসকদের ঘাটতি পূরণ করতে বিকল্প পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়ে রাজ্যে চিকিৎসকদের অভাব পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজ্যের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসক মহলের একাংশ। ওই মহলের বক্তব্য, প্রতি বছর প্রায় ৫,০০০ নয়া চিকিৎসক আসছেন। পরীক্ষায় পাশ করে তাঁরা চিকিৎসক হচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনওরকম উদ্যোগ নিচ্ছে না সরকার। তাঁদের নিয়োগ করা হলে তো রাজ্যে চিকিৎস𓃲কের অভাব হত না। ঘুরপথে চিকিৎসকদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হত না রাজ্য সরকারের। শুধু তাই নয়, চিকিৎসক মহলের একাংশের বক্তব্য, বয়স ৬০ পেরিয়ে গেলে এমনিতেই কর্মদক্ষতা কমে যায়।🤡 সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা পুরোপুরি অযৌক্তিক বলে ওই মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
যদিও রাজ্যের সিদ্ধান্তে কোনওরকম অযৌক্তিকতা দেখছেন না ইন্ডিয়ান মেডিক🌃্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার সম্পাদক তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর বক্তব্য, বয়স কখনওই বিচার্য বিষয় বা দক্ষতার মাপকাঠি হতে পারে না। শারীরিকভাবে সক্ষম থাকলে কোনও চিকিৎসক কাজ করতে🐟ই পারেন।
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠেই 🐬হাঁচি শুর🔯ু? ঠান্ডা নাকি অন্য কিছু? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
এমনিতে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জাতীয় স্বাস্থ𒉰্য মিশনের আওতায় চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসকরা বিভিন্নরকম পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা বা পুরনিগমের আওতায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁরা কর্মরত থাকেন। জেলা হাসপাতালেও চিকিৎসা করেন। সেরকম চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ১,২০০। তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০০ জনের শীঘ্রই অবসর নেওয়ার কথা ছিল। সেক্ষেত্রে আরও চিকিৎসকের ঘাটতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় বর্তমান চুক্তিভিক্তিক চিকিৎসকদের অবসরের বয়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )🍌