রেলপথে আগেই জুড়েছিল শিলিগুড়ি-ঢাকা। এবার সরকারি বাসের মাধ্যমেও শিলিগুড়ি ও ঢাকার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হতে পারে। পিপিপি মডেলে শুরু হতে পারে এই নয়া উদ্যোগ। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম সূত্রে খবর একটি বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই নয়া উদ্যোগ নেওয়া হবে। সোমবার এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতীম রায় সাংবাদিকদের কাছে একথা জানিয়েছেন।এনবিএসটিসি সূত্রে খবর, এই উদ্যোগ সফল হলে এটা হবে আন্তর্জাতিক রুটে সংস্থার দ্বিতীয় উদ্যোগ। সংস্থার বোর্ড মিটিংয়েও এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে গত জুলাই মাসে সংস্থার পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি-কাঠমান্ডু বাস সার্ভিস চালু হয়েছিল।এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ফুলবাড়ি হয়ে ঢাকা পর্যন্ত আমরা বাস সার্ভিস চালু করতে চাইছি। প্রাইভেট অপারেটরের মাধ্যমে এই পরিষেবা চালু হবে। যেভাবে কাঠমান্ডু পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু হয়েছিল। সেভাবেই এটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আপাতত আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। কার্যত হাত বাড়ালেই প্রতিবেশী দেশ। কিন্তু সেখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। তবে এবার উত্তরবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ যাত্রাকে আরও সুগম করতে উদ্যোগী হচ্ছে এনবিএসটিসি।তবে বর্তমানে বাংলাদেশের একটি পরিবহণ সংস্থা কোচবিহারের চ্য়াংরাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত বাস চালায়। তবে এক্ষেত্রে যাত্রীদের সীমান্তে বাস পরিবর্তন করতে হয়। তবে সরাসরি উত্তরবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য় মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। সেই স্বপ্ন এবার সফল হওয়ার পথে।পার্থপ্রতীম রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফুলবাড়ি সীমান্ত পথে আমরা এই বাস নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছি। দুদেশের প্রচুর মানুষ এতে আগ্রহী হবেন।সীমান্তের এপারে ফুলবাড়ি। সীমান্তের অন্য পাড়ে পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা। ওপার থেকে পর্যটকরা দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসতে চাইলে তাঁরা এই পথ ব্যবহার করতে পারবেন। এই পথে বাংলাদেশের আরও কাছে হবে শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং পাহাড়।এদিকে এনবিএসটিসি সূত্রে খবর, গত মাসে সংস্থার সর্বোচ্চ আয় হয়েছে। গত মাসে সংস্থার আয় হয়েছে ১৬ কোটি টাকা।এদিকে এনবিএসটিসি সূত্রে খবর, সিএনজি বাস চালানোর ব্যাপারেও পরিকল্পনা নিচ্ছে এনবিএসটিসি। কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত এই বাস চলবে। একাধিক ডিপোতে সিএনজি স্টেশন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২০টি সিএনজি বাস চালুর জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে বলে খবর। পাশাপাশি বাসে ট্র্যাকিং সিস্টেমও চালু করার চিন্তাভাবনা চলছে।