শুক্রবারই মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে জঙ্গি সন্দেহে শামিম আনসারি নামে এক যুবককে আটক করা হয়। জেরায় তার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ায় পর জলঙ্গির নওদাপাড়ার কালীগঞ্জ গ্রামের ২৫ বছর বয়সী ওই যুবককে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। রবিবার এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের স্পনসর করা এক আল কায়েদা মডিউলের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আনসারি।এর আগে ধৃত ৯ জনের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শামিমের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, আল কায়দার স্লিপার সেলের সদস্য শামিম। কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করত সে। বছর দেড়েক আগে গ্রামে ফেরার পর থেকে ধৃত জঙ্গি আল কামালের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই আল কামাল আসলে শামিমের প্রতিবেশী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের আড়ালে ধর্ম ও জেহাদের নামে ছোটদের মগজধোলাই করত।এনআইএ–র তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আল কামালের সঙ্গে সারাদিনই থাকত শামিম। বিভিন্ন বৈঠকেও হাজির ছিল। শামিম আনসারির কোড নাম ছিল মুন্না। তার কাজ ছিল ১৮ থেকে ২০ বয়সী যুবকদের বুঝিয়ে–সুঝিয়ে জেহাদের পাঠ পড়ানো এবং দলে যুক্ত করা। বেশ কিছু জঙ্গিকে বাংলাদেশ সীমান্ত পার করতেও সাহায্য করেছে সে। তাকে শীঘ্রই দিল্লিতে এনআইএ আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।এদিকে, শামিমের গ্রেফতারির পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। সংসারে সে–ই একমাত্র উপার্জনকারী ছিল। আর গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করতেই পারছে না যে শামিম জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।