বেলডাঙায় সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনই দাবি করল পুলিশ। রবিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে বলা হয়েছে,💜 ‘মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় গত রাতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে কয়েকটি অংশের তরফে ভুয়ো তথ্য এবং গুজব ছড়ানোর যে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টা চলছে, সেটা নিন্দনীয়। (গত রাতে) বেলডাঙায় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। যেﷺখানে সেই ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার কমিটির সভাপতি এবং সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ১৭ জনকে গ্রেফতার করে ভাঙচুর এবং হিংসার ঘটনায় পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে।’
‘গুজব ছড়ালেই…’, হুঁশিয়ারি পুলিশের
সেইসঙ্গে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ‘জেলার কোথাও কোনও প্রাণহানি হয়নি। ছয়জন আহত হয়েছেন এবং তাঁদের উপযুক্ত চিকিৎসা হচ্ছে। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সকলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। (পুরো পরিস্থিতির উপরে) পুলিশ কড়া নজর রেখেছে। শান্তি বিঘ্নিত করতে যাচাই না করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যে তথ্য এবং পরিসংখ্যান ছড়ানো হচ্ছে, তাতে দয়া করে কান দেবেন না। যারা আ💮ইন ভেঙেছে এবং যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ ক✃রা হবে।’
পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে ℱযে রবিবার বেলডাঙার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখন পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যে আছে। শনিবার রাতে সেখানে দুটি গোষ্ঠ🐼ীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ভাঙচুর চালানো হয় বাড়ি এবং দোকানে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, শনিবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিট নাগাদ সেই সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভের জেরে ট্রেনও আটকে যায় বলে দাবি করা হয়েছে।
'বেলডাঙার দায়িত্বে থাকে অফিসারদের ফেরানো হয়েছে'
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রবিবার নতুন করে কোনও সংঘর্ষের খবর মেলেনি। নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, ‘যে পুলিশ অফিসাররা আগে বেলডাঙা এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সকলকে আপাতত ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তা🌱ঁরা এখন যেখানে দায়িত্বে ছিলেন, সেখান থেকে সাময়িকভাবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বেলডাঙায়।’
আরও পড়ুন: Partha and ♋Arpita: ‘এখানে কার্তিক ফেলবেন না, সﷺবাই জেলে’, ‘অপা’-র বাড়ির সামনে ব্যানার? কী বিষয়টা?
সঠিক পদক্ষেপ প্রশাসনের, বললেন অধীর
তারইমধ্যে রবিবার বেলডাঙায় কার্তিক পুজোর শোভাযাত্রায় যোগ দিতে আসেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁকে অবশ্য সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে আহতদের স্বাস্থ্যের খবর দিতে হাসপাতালে আসেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, 'সঠিক পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। আমরা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছি। ঐক্য বজায় রাখার ౠজন্য আমি সকলের কাছে আর্জি জানাচ্ছি। কয়েকশো বছর ধরে সব মানুষ মুর🅠্শিদাবাদে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন।'