আসানসোলের কুলটিতে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনেই চলল একের পর এক গুলি। শুক্রবার রাতে কুলটির চিনাকুড়ি সোদপুর ৯/১০ এলাকায় দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় । তাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এইডস আক্🍃রান্ত এক ব্যক্তি। তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম কৃষ্ণ নুনিয়া। তিনি চিনাকুড়ি এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা, তবে ইতিমধ্যেই কিছু সূত্র তাদের হাতে এসেছে।
আরও পড়ুন: খাওয়ার সময় কাঁচা লঙ্কা না পেয়ে সহকর্মীদের একের পর এক গুল📖ি, নিহত ২ CAF জওয়ান
জানা গিযꦕ়েছে, কৃষ্ণকে এর আগেও দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েকবার লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। তবে প্রত্যেকবারই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাতে প্রাণে বেঁচেছিলেন কৃষ্ণ। এবারও কৃষ্ণকে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। হাতে ও পেটে গুলি লাগে কৃষ্ণের। কে বা কারা গুলি চালিয়েছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে পুলিশের অনুমান, পুরানো শত্রুতার জেরে শুট আউটের ঘটনা। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত কৃষ্ণ নিজেও অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত। চুরি, ছিনতাইয়ের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর আগে বেশ কয়েকবার তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাকে পরপর তিনবার খুনের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ জানিয়েছে কৃষ্ণ চিনাকুড়ি এলাকারই বাসিন্দা। রাতে বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাকে ঘিরে পরপর ৫ রাউন্ড গুলি চালায়। হাত ও পেটে গুলি লাগায় মাটিতে ল💦ুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলির শব্দ শুনে সেখানে ছুটে আসেন আশেপাশꦓের লোকজন। তড়িঘড়ি কৃষ্ণকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। পরে খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় এলাকায়।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কৃষ্ণের পরিবারের লোকজন। তার ভাই আকাশ নুনিয়া বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি দাদা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কে ব✱া কারা গুলি চালাল জানিনা। আমার দাদা একজন গাড়ি চালক।’ তিনি জানান, স্কুলের কাছে তার দাদা বসে ছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।