প্রবল দাবদাহে বেহাল দশা হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গবাসীর। সেই পরিস্থিতি থেকে স্বস্তি দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় কালবৈশাখী হানা দেয় দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায়। ঝড়-বৃষ্টিতে স্বস্তি পেয়েছেন বহু। তবে এই স্বস্তির বৃষ্টি প্রাণ কেড়ে নিল দুই জনের। জানা গিয়েছে কৃষ্ণনগরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় কালবৈশাখীর ঝড়ের সময়। অপরদিকে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামেও ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয় ঝড়ের জেরে। (আরও পড়ুন: ‘চাকরির নামে কুকুরের মল পরিষ্কার কর🅠ান💟ো হত’, রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তরুণীর)
কৃষ্ণনগরের মৃত ব্যক্তি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। নাম রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক। জানা যায়, স্কুটি চালিয়ে টিউশনি করতে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে গাছের ডাল ভেঙে মাথায় পড়ে তাঁর। গাছের ডালের আঘাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে জানা গিয়েছে, ঝড়ের সময় গাছ পড়ে মৃত্যু হয় সেই ছা🎃ত্রীর।
এদিকে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির জেরে ওভারহেড তার ছিঁড়ে কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত༺ হয়। বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কাটোয়া স্টেশনে। পরে কাটোয়া-বর্ধমান লাইনের সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়। এদিকে ঝড়ের জেরে তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস, হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটি সহ একাধিক স্টেশনে একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে গত সন্ধ্যায়। এর জেরে চরম সমস্যায় পড়েন ট্রেনযাত্রীরা। পরে রাতের দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।