মুর্শিদাবাদের ডোমকলে মনোনয়ন পর্বে একেবারে হাড়হিম করা ছবি। এক ব্যক্তিকে পুলিশ ধরে ফেলে। দেখা যায় তার কোমরে পিস্তল গোঁজা। তিনি নাকি পিস্তল নিয়ে বিডিও অফিস পাহারা দিচ্ছিলেন। মনোনয়ন পর্বে এই ছবি একেবারে শিউরে ওঠার মতো। বিজেপির দাবি তিনি তৃণমূল নেতা। এদিকে এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই একেবারে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। তবে পুলিশ শেষ পর্যন্ত ওই তৃণমূল নেতাকে পাকড়াও করেছে। তার কোমর থেকে পিস্তলটা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের দাবি মনোনয়ন পর্বেই যদি এই ছবি দেখা যায় বাংলায় তবে ভোটের সময় কী হবে? সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম হাসির মোল্লা। তিনি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। পুলিশকে বলতে শোনা যায়, আমাদের সামনে ধরা পড়লে তো এমন হবেই। পালিয়ে যেতে পারতেন। টুইট করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, মনোনয়ন পর্বেই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটলে নির্বাচনের দিনে কি ঘটতে চলেছে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী? মুর্শিদাবাদে পকেটে পিস্তল নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতা। এরপরেও আপনি আর আপনার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনার বলবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই? টুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কোথাও যাতে অশান্তি না হয় সেব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বার্তা দিয়েছেন। তারপরেও কেউ কিছু করলে দল রেয়াত করবেন না।এদিকে এদিন পুলিশ যখন ওই তৃণমূল নেতাকে ধরতে যান তখন শোনা যায় তারা বলছেন একে তো ধরতেই হবে। সুকান্ত মজুমদারের পোস্ট করা সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় জিন্সে প্যান্টের পকেটে রাখা ছিল পিস্তল। সেই পিস্তলটাই কেড়ে নেয় পুলিশ। এরপর তাকে আটক করা হয়। কিন্তু সেই পিস্তলটা আদৌ বৈধ নাকি অবৈধ সেটা জানা যায়নি।এদিকে বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধিরা সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে দেখা করেন। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। গতকাল একজন কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন। কে কী করেন সেটা বড় কথা নয়। কিন্তু একজন সহনাগরিক খুন হয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে হয় তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা দরকার। চুক্তিভিত্তিক কর্মী যেমন সিভিক ভলান্টিয়ার, প্যারা টিচারদের এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হোক।