আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলের পড়ুয়ারা প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হচ্ছে। আগামিদিনেও একাধিক স্কুলে সেরকম কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তারইমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হল যে স্কুলের বাইরে কোনওরকম কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না পড়ুয়ারা। শুধুমাত্র স্কুলশিক্ষা দফতরের আয়োজিত কোনও অনুষ্ঠানেই তারা যোগ দিতে পারবে। আর সেই নির্দেশিকা নিয়ে যেমন সমালোচনায় মুখর হয়েছে শিক্ষক মহল, তেমনই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। ওই নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাꦿ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘হীরক রানি’ বলে কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
‘ভয়ে কাঁপছেন হীরক রানি'
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে প্রাথমিক স্কুল, আপার-প্রাইমারি এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, ‘ভয়ে কাঁপছেন হীরক রানি। স্বতঃস্ফূর্ত যে জনরোষ তৈরি হয়েছে, তাতে কোণঠাসা হয়ে গ🅰িয়েছে সরকার। পুরো প্রশাসনকে নাড়িয়ে দিয়েছে (সেই জনরোষ)। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত জনগণের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আরও বেশ𝕴ি সংখ্যক মানুষ রাস্তায় নেমেছেন।’
যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্👍নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের প্রেক্ষিতেই সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে একটা শব্দও খরচ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুন ঘটানোর প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে, তাতে রাশ টানতেই এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
‘অথচ সরকারি প্রকল্পের প্রচারে পড়ুয়াদের ব্যবহার করা হয়’
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘যে ঘটনা গোটা ভারতবর্ষ তথা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে, তাকে এইভাবে দমন করার মধ্যে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আত্মকেন্দ্রিকতা, পারস্পারিক সহানুভূতিহীন জগৎ তৈরি করতে চাইছি আমরা? তারা তো অন্য কিছু নয়,🌼 কেবল প্রকৃত জাস্টিস চাইছে। সরকারি প্রকল্প প্রচারের জন্য তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।’
প্রত্যাহার করা হোক নির্দেশিকা, উঠল দাবি
তিনি আরও বলেন, ‘এত বড় একটা সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে দোষীদের শাস্তির দাবি করতে পারবে না? রাজ্যের শিক্ষা দফতর থেকে কোনও নির্দেশিকা এখনও জারি করা হয়নি। কিন্তু একটা জেলার শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশিকা প্রকাশ হয়ে গেল! এ নির্দেশিকা 💟প্রত্যাহারের দাবি করছি আমরা।’