নির্দিষ্ট সময়ের অনেক দেরিতে চলছে দিনের প্রথম ট্রেন, যার ফলে প্রতিদিন গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে গিয়ে দেরি হচ্ছে 🐼নিত্যযাত্রীদের। এদের মধ্যে কেউ রয়েছেন শিক্ষিকা, আবার কেউ অফিস যাত্রী। প্রতিদিন ট্রেন লেট হওয়ায় তাদের চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এই অভিযোগে বীরভূমের সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে রেল অবরোধ করলেন যাত্রীরা। রেল লাইনে নেমে যাত্রীদের ট্রেন অবরোধের ফলে আটকে যায় বহু ট্রেন। এর ফলে সমস্যায় পড়েন অন্যান্য যাত্রীরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পরে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
আরও পড়ুন: বিক্ꦕষোভের জেরে নলহাটিতে ঘণ্টা��র পর ঘণ্টা আটকে বন্দে ভারত, থমকে আরও ট্রেন
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯ টা ৪৩ মিনিট নাগাদ রেল অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। তাদের বিক্ষোভের জেরে আটকে পড়ে শতাব্দী এক্সপ্রেস, হামসাফর এক্সপ্রেস সহ বহু এক্সপ্রেস ট্রেন। প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ধরে তাদের বিক্ষোভ চলে। এদিকে, বিক্ষোভের খবর পেয়ে আরপিএফ এবং রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে। ট্রেন লেটের পাশাপাশি স্💃টপেজ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা। তাদের বক্তব্য, সাহেবগঞ্জ লুপ প্যাসেঞ্জার লাইনে একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়ালেও বাতাসপুরে কোনও স্টপেজ নেই। ফলে যাত্রীদের আমোদপুর বা সাঁইথিয়া স্টেশনে নেমে বাতাসপুরে যেতে হয়। এতে লেগে যায় অনেকটাই বেশি সময়। তাছাড়া বাতাসপুরে এক্সপ্রেস না থামার কারণে তাদের কাছে আর কোনও বিকল্প থাকে না। এর জেরে সমস্যꦦায় পড়তে হয় তাঁদের।
বিক্ষোভরত এক যাত্রী জানান, বর্ধমান– তিনপা💜হাড় এক্সপ্রেস করে তাঁরা প্রতিদিন গন্তব্যস্থলে পৌঁছন। এই ট্রেনটিকে ফাস্ট প্যাসেঞ্জার বলে দাবি করা হলেও এটি লোকাল ট্রেনের থেকেও ধীরে চলে। তাছাড়া আগে এই ট্রেনটি চালানো হত সকাল ৬টাꦿয়। এখন চালানো হচ্ছে সকাল ৭ টার সময়। এই অবস্থায় যাত্রীদের দাবি, ফাস্ট প্যাসেঞ্জারের মতোই ট্রেনটিকে নির্দিষ্ট গতিতে চালাতে হবে। যখন, যে স্টেশনে যে সময় পৌঁছনোর কথা সেই সময়ই পৌঁছতে হবে। তাঁদের অভিযোগ, এ নিয়ে রেলের বিভিন্ন জায়গায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। তাই তাঁরা অবরোধ করেছেন। পরে রেলের আধিকারিকরা আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। তারপরে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।