উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক আবহের একটা বড় ফ্যাক্টর পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি। যা নিয়ে বারবার তেতে উঠেছিল শৈলশহর। এই নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়েছে দার্জিলিং পাহাড়ে। যদিও রাজ্য এবং কেন্দ্র কোনও সরকারই তাদের এই দাবি মানেনি। উলটে উ🍒ন্নয়ন অস্ত্রে পাহাড়বাসীর পৃথক হওয়ার মানসিকতাকে সরিয়ে তাঁদের কাছে টানার চেষ্টা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। কিন্তু যে কোনও নির্বাচনের আগে গোর্খাল্যান্ডকে ইস্যু করে রাজনীতি শুরু হয়। এবার শিলিগুড়িতে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সেই ইস্যুতেই শান দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘গোর্খাদের সমস্যা নিয়ে বিজেপি সংবেদনশীল, বুঝতে পারে। সমাধান করার পথেও অনেকটাই এগোনো গিয়েছে।’
এদিকে পৃথক রাজ্য বা🎀 কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি জানিয়ে বহুদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছে গোর্খাদের একাংশ। আজ সেই ইস্যু আর একবার উসকে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘দেশবাসীর সব স্বপ্নপূরণ করেছে মোদী সরকার। অযোধ্যায় রামমন্দির হয়েছে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হয়েছে। গোর্খাদের সমস্যা নিয়েও সংবেদনশীল বিজেপি। গোর্খাদের সমস্যা সমাধানের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গেছি আমরা। আমাদের গোর্খা ভাই–বোনের যে সমস্যা রয়েছে, ওদের প্রতি বিজেপি সবসময় সংবেদনশীল। বিজেপি আপনাদের চিন্তা দূর করতে নিরন্তর প্রয়াস করেছে। আমরা এখন সমাধান🔜ের কাছাকাছি আছি। বিজেপি আপনার অপেক্ষা দূর করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ‘কাল দেখা হবে’, ব্রিগেডের মঞ্চ পরিদর্শন করে কর্মীদের জানিয়ে গেলেন অভিไষেক
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে একাধিক বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘পাহাড়বাসীর কথা ভাবেনি তৃণমূল। কোনও কাজও করেনি। শুধু পাহাড়ে নিজেদের জমি দখলকেই 🎃পাখির চোখ করেছে। গোর্খাদের সমস্যা আমরা বুঝি। সেটা নিয়ে সংবেদনশীল বিজেপি। সমস্যা অনেকটা সমাধানের পথে। উত্তরবঙ্গের বিকাশের জন্য বিজেপির নির্দিষ্ট রুট ম্যাপ রয়েছে। চা বাগানগুলি থেকে উৎপাদন বৃদ্ধি, শ্রমিকদের নানা সুবিধা প্রদান থেকে শুরু করে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ব্যাপারে নানা পদক্ষেপ চলছে। ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে পরপর তিনবার লোকসভা নির্বাচনে পাহাড় থেকে জয় পায় বিজেপি। কিন্তু পাহাড়বাসীর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।