এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশী এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই নাবালিকাকেও পুলিশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ অপহরণ এবং ধর্ষণের মামলা রুজু করার পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা রুজু করেছে। নাবালিকাকে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল বলেই অভিযোগ উঠেছে। তার ভিত্তিতে এই𝐆 ঘটনার সঙ্গে কোনও পাচার চক্র জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের 🔜পর আত্মঘাতী ৬০ বছরের বৃদ্ধ
পারিবারিক এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৬ এপ্রিল। ওই দিন সন্ধ্যাবেলায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নাবালিকা। সুমিত্রা মণ্ডল নামে ওই মহিলা বাজারে যাওয়ার নাম করে তাকে সঙ্গে করে বেরিয়েছিল। তবে সুমিত্রা বাজার থেকে বাড়ি ফিরে এলেও ১১ বছরের নাবা🐻লিকা মেয়েটি বাড়ি ফেরেনি। তাতে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় সুমিত্রার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন নাবালিকার অভিভাবকরা। এরপরে ওইদিন রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, ওই নাবালিকা তার বাবা-মায়ের সঙ্গে নরেন্দ্রপুর এলাকায় ঘর ভাড়াযꦐ় থাকে। সেই বাড়িতেই ভাড়া থাকে প্রতিবেশী সুমিত্রা ও তার স্বামী আকাশ মণ্ডল। ঘটনার তদন্তে নেমে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ নাবালিকার অবস্থান নিশ্চিত করে। এরপর সোনারপুরের খেয়াদহ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে। নাবালিকা পুলি𒈔শকে জানায়, সুমিত্রা এবং তার স্বামী আকাশ তাকে জোর করে সেখানে আটকে রেখেছিল। তার ভিত্তিতে পুলিশ ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, এই ঘটনায় পাচারের চেষ্টা অভিযোগ তুলেছেন নাবালিকার বাবা। তার অভিযোগ, ওই দম্পতি তাদের মেয়েকে পাচারের ছক কষেছিল। এই অবস্থায় কোনও পাচার চক্র জড়িত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে আকাশ। তার দাবি, নাবালিকা স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে গিয়েছিল। নাবালিকার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাহলে সে ক্ষেত্রে সুমিত্রা কেন স্বামীর পরকীয়াতে সম্মতি জানালো? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নাবালিকার বাবা-মা। এই ঘটনায় অপহরণ এবং ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করার পাশাপাশি তার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়🌊েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।