যাবতীয় শোরগোলের অবসান। অভিষেকের অভিষেক নিয়ে কোনও কথাই হল না তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকেဣ। সোমবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বৈঠকে শুধু জাতীয় স্তরের মুখপাত্র ছাড়া তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও দেওয়া হল না তাঁকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যতই দলের কিছু নেতা অভিষেকের হয়ে গলা ফাটান না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিলেন দলের রাশ রয়েছে তাঁর হাতেই।
কলকাতা পুরসভার তৃণমূলি কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে প্রকাশ্যে খুনের চেষ্টার পর থেকে অভিষককে রাজ্য মন্ত্রিসভায় এনে পুলিশমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন দলেরই একাংশ। তার মধ্যে সব থেকে সোচ্চার ছিলেন বিধায়ক হুমায়ুঁ কবির। তিনি বলেন, পূর্ণ সময়ের পুলিশ মন্ত্রী হলে পুলিশের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এরই মধ্যে বেরোয় উপনির্বাচনের ফল। তার পর তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে অভিষেকের অভিষেক নিয়ে ফয়সলা হতে পারে বলে মনে করছিলেন অনেকে। তবে সে আশায় জল পড়ল সোমবার। অভিষেককে নিয়ে আলোচনা তো দূর অস্ত, উলটে নতুন করে যাদের কর্মসমিতির সদস্য করা হল তারা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো স🌺ৈনিক বলে পরিচিত। ব্রাত্য রইলেন অভিষেক ঘনিষ্ঠরা।
সোমবারের বৈঠকে কর্মসমিতির সদস্য করা হয়েছে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়া, মালা রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জাভেদ খানকে। এরা প্রত্যেকেই মমতার পꦬুরনো সৈনিক। গোটা বৈঠকে অভিষেকের প্রাপ্তি শুধুমাত্র জাতীয় মুখপাত্রের পদ।
তবে অভিষেককে নিয়ে দলের নেতাদের একাংশের উচ্ছ্বাস যে তাঁর ভালো লাগছে না তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। গত সপ্তাহেই কয়লা - বালি চুরিতে জড়িত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। এবার কর্মসমিতির ব๊ৈঠকেও ‘মুঙ্গেরিলাল কে হাসিন সপ্নে’ সফল হল না।