ভোটের হিসাব বলছে, এবারের মহারাষꦇ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কোনও মতে নিজের আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) প্রার্থী রোহিত রাজেন্দ্র পাওয়ার। যিনি সম্পর্কে শরদ পাওয়ারের নাতি (ভাইপোর ছেলে)𝐆 এবং অজিত পাওয়ারের ভাইপো হন।
সোম✅বার এই ভাইপোকেই সামনে থেকে কার্যত তুলোধনা করলেন কাকা অজিত। যিনি নিজেও এনসিপি নেতা। তবে, তাঁর গোষ্ঠী শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন আগেই। এই মুহূর্তে রাজনৈতিকভাবে ও প্রশাসনিকভাবে এই দুই গোষ্ঠী পরস্পরের বিরোধী মেরুতে অবস্থান করছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, মহারাষ্ট্রের 𓄧প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই বি চবনের মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে এদিন কাকা-ভাইপোকে কার্যত মুখোমুখি ꦚহতে হয়।
🔴তার জেরেই ভাইপোর উদ্দেশে কাকা বলেন, 'এসো, আমার আশীর্বাদ নিয়ে যাও। তুমি কোনও মতে বেঁচে গিয়েছ (ভোটের লড়𝓀াইয়ে)।'
প্রসঙ্গত, কারজাট জামখেড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এমভিএ প্রার্থী হয়েছিল🤪েন রোহিত। সেই আসনে একেবারে সামান্য ব্যবধানে জয়লাভ করেন তিনি।
সোমবার কাকা অজিতের মুখোমুখি হওয়ার পর এবং তাঁর📖 মুখে আশীর্বাদ নেওয়ার কথা শোনার পর রোহিত তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম ক🔜রেন। তার আগেই কাকা অজিত তাঁর উদ্দেশে বলেন, 'আমি যদি ওখানে (কারজাট জামখেড়ে) একটাও সভা করতাম, তাহলে ভেবে দেখ, কী হতে পারত!'
খুব স্বাভাবিকভাবেই পরে অজিত পাওয়ারের এই মন্তব্য নিয়ে তাঁর ভাইপো রোহিতকে প্রশ💫্ন করা হয়। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সত্যিই যদি অজিত পাওয়ার তাঁর কেন্দ্রে সভা করতেন, তা♍হলে কি তার কোনও প্রভাব পড়ত?
বয়সে নবীন রোহি꧅ত এর কৌশলী উত্তর দেন। বলেন, 'কিন্তু তিনি (অজিত পাওয়ার) তো বারামতী (যে কেন্দ্রে অজিত পাওয়ার নিজে মহাযুতির প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়ান এবং জেতেন) কেন্দ্র নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। তাই আমার কেন্দ্রে আসার সময় পাননি।'
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র নির্বাচনে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি ৪১টি আসনে জয়লাভ করেছে। উলটো দিকে, অজিতের কাকা, প্রবীণ রাজনীতিক শরদ পাওয়ারেরಌ নেত﷽ৃত্বাধীন এনসিপি-র ভোটের ফল হয়েছে শোচনীয়। তারা মাত্র ১০ আসনে কোনও মতে জয়ী হতে পেরেছে।
লক্ষ্যণীয় হল, বারামতী আসন♊ে অজিত পাওয়ারকে লড়তে হয়েছে তাঁর আর এক ভাইপো তথা শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি প্রার্থী যুগেন্🔯দ্র পাওয়ারের বিরুদ্ধে। ভোটের ফল বলছে, সেই ভাইপোকে নির্বাচনী ময়দানে ১ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন কাকা অজিত।