ব্যবাধান মাত্র ২ বছরের, আর এই ২ বছরেই ২বার পাল্টে গিয়েছে গায়ক দুর্নিবার সাহার জীবনসঙ্গী। প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এখন দুর্নিবারের ꧂অতীত। বর্তমানে মোহর ওরফে ঐন্দ্রিলা সেনের সঙ্গে হাসিখুশি জীবন কাটাচ্ছেন গায়ক। তাঁদের এক পুত্র সন্তানও হয়েছে। তবে সম্প্রতি ফেসবুকের পাতায় উঠে এসেছে দিদি নম্বর ওয়ান-এর পুরনো একটা ভিডিয়ো। যেখানে দুর্নিবার সম্পর্কে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘মানে ও একটা মেকি কোট নিয়ে থাকে, অর্থাৎ দুর্নিবার একটা মুখোশ পরে থাকো তুমি আমাদের সামনে দুর্নিবার?’
কিন্তু গায়ককে নিয়ে এমন মন্তব্য🎐 ক🎃রেছিলেন সঞ্চালিকা রচনা?
ভিডিয়োটি ভালো করে দেখলেই বোঝা যাবে, দুর্নিবার সাহার সঙ্গে বিয়ের পর কতটা পাল্টেছে জীবন, তা নিয়েই কথা বলছিলেন মীনাক্ষী। তিনি জানান, বেলুনের আওয়াজ, কিংবা প্লাস্টিক ফাটলে দুর্নিবারের সমস্যা হয়। আর শোয়েꦕর মধ্যে বেলুন ফাটলে তাই দুর্নিবারের দিকে জল এগিয়ে দিতে দেখা যায় মীনাক্ষীকে। এরপরই রচনা মীনাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, ‘এই যে দাম্পত্য জীবন, সেটা কতদিন ধরে চলছে? তার আগে কতদিন দুর্নিবারকে চিনতে?’
উত্তরে মীনাক্ষী জানান, আড়াই মাসের দাম্পত্য জীবন তাঁদের, তার আগে 🐈তাঁরা একে অপরকে দেড়বছর ধরে চিনতেন। এরপরই রচনা জিগ্গেস করেন দেড়বছরে দুর্নিবারকে কীভাবে পেয়েছিলে? মীনাক্ষী জানান, তিনি প্রথম সꦚারেগামাপা-তে দুর্নিবারকে দেখেছিলেন। এরপর মীনাক্ষীই প্রথম ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলেন। পরে অবশ্য সেই সম্পর্কটা এগিয়ে নিয়ে যেতে বেশি আগ্রহী ছিলেন গায়ক নিজেই। এরপর দেখা সাক্ষাৎ প্রেম। রচনার প্রশ্ন ছিল ‘দেড় বছরে কী বুঝেছিলে? আড়াই মাসের বিষয়টাতে পরে আসছি…’।
মীনাক্ষী তখন জানান, ‘দেড়বছর, আড়াইমাস বিষয়টা একই রকম। কারণ, দুর্নিবারকে পর্দায় যেমন দেখা যায়, রিয়েল লাইফে ও এক্কেবারেই আলাদা। পর্দায় ও গুরু-গম্ভীর, কম কথা বলে। আর বাস্তবে ওর হাসি থামাতে গেলে পরিশ্রম করতে হয়।𒉰’ আর তখনই রচনা বলেন, ‘মানে ও মেকি একটা কোট পরে থাকে, দুর্নিবার তুমি তার মানে আমাদের সামনে একটা মুখোশ পরে থাকো? আজকে সব মুখোশ খুলে যাচ্ছে তোমার।’ উত্তরে গায়ক উত্তর দেন, ‘আজকে আমি এক্কেবারেই মিউট, কোনও কথাই নেই, সব কথা ও (মীনাক্ষী) বলবে’।
এরপর রচনা বলে♔ন, ‘তোমরা থাকছো তো একসঙ্গে?’ উত্তরে দুর্নিবার বলেন, ‘হ্য়🃏াঁ, মানে মিলিয়ে মিশেয়ে। মানে ও মাঝে মাঝে ওর বাড়িতে যায়, আবার আমার বাড়িতে থাকে।’ রচনা বলেন, ‘সে তো বাপেরবাড়িতে যাবেই।’ মীনাক্ষী তখন বলেন, ‘আমার এখনও পড়াশোনা শেষ হয়নি। আমি মার্স্টার্স করছি। তাই কখনও এখানে ওখানে করে কাটছে।’
এই একই শোয়ে উপস্থিত ছিলেন অ🤡ভিনেতা-অভিনেত্রী জুটি পায়েল দ🎃ে ও দ্বৈপায়ন দাস। ছিলেন লোকসঙ্গীত শিল্পী তীর্থ ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী অতসী চট্টোপাধ্যায়।