২০২৩-এর নভেম্বর, জীবনের সবথেকে কাছের মানুষ নানাভাইকে হারিয়েছিলেন ♏পরীমনি। ২🐼০২৪-এর নভেম্বরে এসে আরও একবার মৃত্যুশোকে কাতর বাংলাদেশের 'পরী'। দু'দিন আগেই প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দারের মৃত্যু হয়েছে। যিনি কিনা সম্পর্কে আবার পরীমনির পিসতুতো দাদাও হন। আর এবার আরও এক কাছের মানুষকে হারালেন অভিনেত্রী। ইনি আর কেউ নন, পরীমনির প্রথম ছবির পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।
পরিচালক শাহ আলম মণ্ডলের মৃত্যুতে অভিনেত্রীর ফেসবুকে তাই মনখারাপের সুর। পরীমনি পুরনো ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ওস্তাদ আপনিও চলে গেলেন! আজকের দিনেই আমার নানা চলে গেলো। আপনি ও …. মাফ করে দ𝕴িয়েন ওস্তাদ ܫআমাদের শেষ দেখা হলোই না।’
এদিকে এই মুহূর্তে ঢাকা শহর থেকে দূরে অভিনেত্রী তাঁর নানাভাই-এর পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে রয়েছে তাঁর দুই সন্তান ছেলে 🧔পদ্ম আর মেয়ে প্রিয়ম। সেখানেই রয়েছে অভিনেত্রীর মা-বাবা, নানা ভাই সহ সমস্ত প্রিয় মানুষের কবর। সেখানে গিয়েই তাই নানাভাই-এর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলেন 'পরী', ইসলামিক ভাষায় যাঁকে কিনা বলে মিলাদ। প্রথা মেনে নমাজের পর হল খাওয়া-দাওয়া মেনুতে গো মাংস, মুড়ি আর পায়েস। বাড়ির উঠানে পাত পেড়ে বসে খেলেন সকলে। পরিবেশন করলেন অভিনেত্রী নিজেই। সেসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর আদরের দুই ছেলেমেয়ে। আমন্ত্রিত একজনের কোলে বসে খেতে দেখা গেল পরীর ছেলেকে। এক মহিলা আদর করে পরীমনিকেও খাইয়ে দিলেন। অভিনেত্রীও না বললেন না।
অন্যদিকে ছোট্ট প্রিয়মকে দাদুর কোলে চড়ে চারিদিকে সবকিছু জ��ুলজুল করে দেখতে দেখা গেল। সেই সমস্ত মুহূর্তের ভিডিয়ো ফেসবুকের পাতায় পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি লেখౠেন, ‘জীবন দুঃখের মতো সুন্দর!’
এদিকে য🍨ুগের প্রয়োজনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে পরীমনির পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতেও। সেখ꧙ানেও আর মাটির উনানে রান্না হয় না। তবে অভিনেত্রীর আবদার মেনে সেই ব্যবস্থা করেন তাঁর আত্মীয়রা। নানুভাই-এর বার্ষিকীতে নিজের হাতে সকলের জন্য পায়েস রান্না করেন পরীমনি।
এদিক একের পর এক ম♊ৃত্যুℱতে পরীমনির ফেসবুকের পাতাতেও এখন শুধুই বিষাদের ছায়া। তিনি লিখেছেন, ‘নিয়তির ডাকে দিলে যে সাড়া ফেলে গেলে শুধু নীরবতা। যার চলে যায় সেই বোঝে হায় বিচ্ছেদের কী যন্ত্রনা………’!