উত্তর প্রদেশের দাসনা মন্দিরের বিতর্কিত পুরোহিত ইয়াতি নরসিংহানন্দকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে , মুসলিম ধর্মগুরু তৌকীর রাজা দিল্লির রামলীলা ময়দানে একটি সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেন। সেখানে কোনও অপ্🐈রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্দিরের সামনে তাঁকে এবং তাঁর শিষ্যদের গৃহবন্দি রাখে। প্রতিবাদে মন্দিরের সামনের রাস্তায় বসে তাঁরা হনুমান চলিশা পাঠ করেন। যদিও গৃহবন্দির অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের বক্তব্য, দিল্লির তরফে কোনও অনুমতি না দেওয়ায় তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘হিন্🃏দু মহাপঞ্চায়েত’ ঘিরে চরম বিতর্ক, নরসিংহানন্দের সভায় মার সাত সাংবাদিককে
জানা গিয়েছে, ওয়াকফ আইন সংশোধনীর প্রতিবাদে দিল্লির রামলীলা ময়দানে একটি সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেন তৌকীর রাজা। তারপরই পালটা দিল্লিতে মুসলিমদের সমাবেশে গিয়ে হনুমান চালিশা পাঠ করার বার্তা দিয়েছিলেন পুরোহিত। শুক্রবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে সেখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এরকম হলে বড় অশান্তি ঘটতে পারত। সেই আশঙ্কায় পুলিশ তাঁকে এবং তাঁর শিষ্যদের মন্দির চত্বরেই গৃহবন্দি করে রাখে। তখন তাঁরা মন্দির চত্বরে হনুমাꩲন চালিশা পাঠ করতে শুরু করেন। নরসিংহানন্দ মুসলিম ধর্মগুরু এবং আসাদুদ্দিন ওয়েইসির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তাঁরা যদি হিন্দুদের ভয় দেখানোর জন্য ভিড় জড়ো করতে পারে তাহলে আমরাও তাঁদের সামনে দাঁড়াতে পারি।’পুলিশের তরফে নরসিংহানন্দ এবং তাঁর শিষ্যদের রবিবার দিল্লিতে যাওয়ার জন্য বাধা দেওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নরসিংহানন্দকে বিভিন্ন ধꦛরনের মন্তব্য করে এর আগে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। মুসলিমদের নবিকে নিয়ে মন্তব্য করে এর আগে তিনি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ভিডিয়ো বার্তায় নরসিংহানন্দ বলেছিলেন, ‘হিন্দু সমাজের চুপ থাকা উচিত নয়। আমরা যদি বসে থাকি তাহলে আমরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কাশ্মীর, আফগানিস্তান, ইরান এবং আরব বিশ্বের মতো একই পরিণতির মুখোমুখি হব।’ তিনি ভারতে ইসলামের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং হিন্দুদের তার বিরোধিতা করার আহ্বান জানান।এদিকে, গাজিয়াবাদের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার মিশ্র জানান, যে যেহেতু বিষয়টি দিল্লির সঙ্গে যুক্ত তাই কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে তাদের কোনও আপত্তি ছিল না।