চলতি বছরের মাঝে আওয়ামি লিগ সরকারের পতন ঘটে বাংলাদেশে। সেদেশ ছেড়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের নেত্🍸রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এদিকে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বর্তমানে সেখানে ইউনুস সরকার রয়েছে। আর এই নতুন সরকার আসার পরই, বাংলাদেশের নানান ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটেছে। পরিবর্তন আসছে আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্য়বইতেও। বাংলাদেশের পাঠ্যসূচি ঘিরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এরইমধ্যে পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজ শেষ করে ফেলেছে। সেখানে কী থাকতে চলেছে?
২০২৫ সাল থেকে বাংলাদেশের নয়া শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইতে যোগ হতে চলেছে সাম্প্রতিক সেদেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা। এনসিটিবি সূত্রে একথা জানানো হয়েছে। সেদেশে পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে তুলে ধরা হচ্ছে। তবে, নজর কাড়ছে আসন্ন পাঠ্যসূচিতে আরও একটি বিষয়। এনসিটিবি সূত্রে বলা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে ঘিরে যে ইতিহাস রয়েছে তাকে অতিরঞ্জিত হিসাবে দেখা হচ্ছে, আর তা বাংলাদেশের পাঠ্য়পুস্তক থেকে বাদ যাচ্ছে। বাংলাদেশের পাঠ্যবইতে ঠাঁই হবে না মুজিবর রহমানকে নিয়ে লেখা কবিতারও। এছাড়াও সূত্রের খবর, মুজিবর রহমানকে যে ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ ও ‘জাতির পিতা’ আখ্যা দেওয়া হয়, তাও বাদ যাবে। তবে ‘বঙ্গবন্ধু’ আখ্যা বাদ যাচ্ছে না। এদিকে, 🐟পাঠ্যপুস্তকে যোগ হচ্ছে মওলানা ভাসানি, সহ ৪ জাতীয় নেতার অবদান। এছাড়াও সেদেশের পাঠ্যপুস্তকের পিছনে শেখ হাসিনার যে সমস্ত উদ🍸্ধৃতি রয়েছে, তাও বাদ যাবে। সেখানে যুক্ত হবে ঢাকা শহর জুড়ে পড়ুয়াদের আঁকা গ্র্যাফিটি।
এদিকে এনসিটিবির চেয়ারম্যান ড. এমকে এমন রিয়াজুল হাসান বলেন,'মুক্তি যুদ্ধ বা ইতিহাসে যার যা ভূমিকা রয়েছে তা আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইতে যোগ হতে চলেছে। ২০২৪র𝔍 গণঅভ্যুত্থানের গল্পও যোগ হবে। শিক্ষার্থীরা দেওয়ালে দেওয়ালে যে গ্র্যাফিটি এঁকেছে তা আমরা বইয়ের প্রচ্ছদের পিছনে যোগ করছি।' তিনি জান🐬ান বই ছাপা শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, হাতে সময় কম থাকায় এবছর পরিমার্জনের কাজ খুবই দ্রুত শেষ করেছেন তাঁরা। তিনি বলছেন, ২০২৬ সালের বইতে এই পরিমার্জনের কাজ আরও ভালোভাবে করার চেষ্টা করা হবে।