হাসপাতাল থেকে দিনের-পর-দিন চুরি হয়ে যাচ্ছিল কম্বল, বিছানার চাদর সহ ওষুধ এবং অন্যান্য সামগ্রী। কীভাবে এই সমস্ত জিনিস জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছিল তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে জানা গেল হাসপাতালে যে টানেল দিয়ে ধোপাকে নোংরা বিছানার চাদর, কম্বল পাঠানো হতো সেই পথেই এই সমস্ত জিনিসপত্র পাচার হচ্ছিল। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধম🌄ানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম হল শ্রীলক্ষ্মী হাজরা, রীনা সরকার ও কাওসার শেখ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার মধ্যে ২ জন হাসপাতালের কর্মী। তারা হাসপাতালের ক্যাজুয়াল স্টাফ এবং আয়া হিসেবে কর্মরত ছিল। এই ঘটনার তদন্তে নামার পরেই প্রথম থেকে পুলিশের অনুমান ছিল, যেভাবে চুরি হচ্ছে তাতে হাসপাতালেরই কোনও কর্মী জড়িত রয়েছে, তাছাড়া হাসপাতাল থেকে এভাবে দিনের পর দিন জিনিসপত্র চুরি হওয়া সম্ভব নয়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে শ্রীলক্ষ্মী হাসপাতালের ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিল। অন্যদিকে, রীনা সরকার হাসপাতালের আয়া। এই দুজনেই নদিয়ার বাসিন্দা কাওসারের মাধ্যমে হাসপাতালের বিছানার চাদর থেকে শুরু করে ওষুধ, স্যালাইন পাচার করে আসছﷺিল।
পাচারের জন্য তারা ধোপার কাছে নোংরไা বিছানার চাদর নিয়ে যাওয়ার টানেলটিকে ব্যবহার করে আসছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে, দীর্ঘদিন ধরেই এই পাচার চলছে, তাহলে এতদিন পর হঠাৎ কেন এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসল? সে ক্ষেত্রে আগে থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? তাহলে কী হাসপাতালের অন্য কোনও কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড🌸়িত আছে! তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর জন্য ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তাদের আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার জন্য পুলিশ আবেদন জানাবে বলে জানা গিয়েছে।