দীর্ঘদিন ধরেই রমরবিয়ে চলছিল জাল প্রতিবন্ধী শংসাপত্র তৈরির কারবার। আর সেই শংসাপত্র দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন অনেকেই। অবশেষে জাল শংসাপত্র তৈরি চক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। এই ঘটনায় তিনজনকে গℱ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন হলেন পুলিশের হোম গার্ড। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে এই💃 প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করেছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র যাচাই করবেন অবসরপ্রাপ্তরা, নিয়োগ শীঘ্রꦰই,🦹 কত ভাতা জেনে নিন
সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে পাড়ায় সমাধান প্রকল্প নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পে জাল প্রতিবন্ধী শংসাপত্রের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই প্রকল্পে বেশ কয়েকটি জাল প্রতিবন্ধী শংসাপত্র জমা পড়ে। তখন অভিযোগ ওঠে কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে জাল শংসাপত্র মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। মূলত, হরিশ্চন্দ্রপুরের রশিদাবাদ, তুলসিহাটা ও বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত সহ একাধিক এলাকায় জাল প্রতিবন্ধী শংসাপত্রের কারবার রমরমিয়ে চলছিল। জানা গিয়েছে, অনেকেই জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ভাতাও পাচ্ছেন। আবার অনেকের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। প্রতিবন্ধী নন অনেকেই ২ থেকে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে🥂 জাল শংসাপত্র কিনেছেন ব🍌লে জানা যায়।
বিডিওর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ হোমগার্ড নুর আলম, তাঁর জামাইবাবু নাজিমুল হক এবং এক ছাপাখানা ব্যবসায়ী মামুন আলিকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে যে শংসাপত্র জমা পড়েছিল তা দেখে সন্দেহ হয়েছিল বিডিওর। এরপরেই তিনি পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। তারপরে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে জাল শংসাপত্রের বিষয়ে সত্যতা খুঁজে পায়। এই ঘটনায় এলাকার তৃণমূল কর্মী নাজমুল হককেউ আটক করেন মানুষ। পরে তাকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ ধৃতদের চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্🌺তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতারিত ব্যক্তিরা। কীভাবে তারা প্রতারণা চক্র চালাত? কতজনকে তারা প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দিয়েছে? কতজন তা দেখিয়ে সরকারি সুবিধা পেয়েছে? সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে থাকতে পারে।