গত শুক্রবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ওই কুড়মি আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে। ধৃত আন্দোলনকারী নাম কৌশিক মাহাতো। হামলার ঘটনার 🌃পর থেকেই তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁকে গ্রেফতার করার ফলে এখনও পর্যন্ত অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় মোট ধৃতের সংখ্যা হল ১১ জন। ধৃত কৌশিক মাহাতোকে আজ শুক্রবার আদালতে হয়।
অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনার পরে তদন🎐্তভার নেয় সিআইডি। এর আগে গত বুধবার আরও এক কর্মী নেতা ধনঞ্জয় মাহাতো ওরফে জয়কে গ্রেফতার করেছিল🐟 ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। সেই কুড়মি নেতাকে ৬ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়গ্রাম আদালত। এছাড়া, এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিল শিবাজী মাহাতো, রাজেশ মাহাতো, নীতিশ মাহাতো সহ ৯ জন। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে শুধুমাত্র ধনঞ্জয়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিআইডি। তাছাড়া, সিআইডিকে জেলে গিয়ে বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয় ঝাড়গ্রাম আদালত। এদিন ধৃত কৌশিক মাহাতোকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে জেলায় জেলায় ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শুক্রবার ঝাড়গ্রামে ছিল নবজোয়ার কর্মসূচি। সেখানে রোড শো শেষ করে লোধাশুলি হয়ে শালবনির দিকে যাচ্ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তখনই সেই কনভয়ে কুড়মিরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কনভয়ের একটি গাড়িতে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। যদিও এই ঘটনায় কুড়𝓡মিদের ক্লিনচিট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও কুড়মি নেতা রাজেশ সহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। ঘটনায় তদন্তভার নেয় সিআইডি। তারপরে তারা তদন্ত শুরু করে। এই হামলার পিছনে কারা রয়েছে? কাদের নির্দেশে হামলা হয়েছিল? তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সি꧟আইডি। যদিও এই হামলার ঘটনাই ধৃত রাজেশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি জানিয়েছেন।