নর🅘েন্দ্রপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত এএসআইকে ক্লোজ করল বারুইপুর জেলা পুলিশ। হেফাজতে থাকার সময় মৃ♊ত্যু হয়েছিল সুরজিৎ সর্দার নামে এক যুবকের। সেই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলে পরিবার। এই নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। সেই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানা এবং এএসআই অর্ণব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সুরজিৎকে মারধরের অভিযোগ তুলেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পর অবশেষে এএসআইকে ক্লোজ করল পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, সুরজিতের বিরুদ্ধ🐻ে মিথ্যা চুরির মামলার রুজু করে পুলিশ। এরপর গত ১৩ এপ্রিল তাঁকে বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। ২০ এপ্রিল পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ বোধ করেন সুরজিৎ ওরফে সাহেব। প♈্রথমে তাঁকে সোনারপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পরে পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলে পরিবার। এদিকে, সুরজিতের মৃত্যুর ঘটনায় তৈরি হয় রাজনৈতিক চাপানোতর। কংগ্রেসের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসক দল বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করতে চাইছে। সেই কা🐠রণে ওই যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এই অভিযোগে ঘটনার তদন্তের দাবি তুলে বারুইপুর জেলার ডেপুটি সুপারের কাছে অভিযোগ জানায় কংগ্রেস। পরিবারের অভিযোগ, ১৩ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সুরজিতের সঙ্গে তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলে পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেফাজতে যুবকের মৃত্যু এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।