একটি বাড়ির রান্নাঘরের নিচেই কয়েকমাস ধরে চাপা দেওয়া ছিল একটি মৃতদেহ। অথচ তা জানা ছিল ওই বাড়ির কোনও সদস্যের। প্রমাণ লোপাটের জন্য খুন ক🥃রে দেহ রান্না ঘরের মাটির নিচে চাপা দেওয়া হয়েছিল। খুনের বেশ কয়েকমাস পর অবশেষে ওই রান্নাঘরের মাটি খুঁড়ে আস্ত একটি নরকঙ্কাল উদ্ধার করল পুলিশ। রান🍌্নাঘর থেকে এমন নরকঙ্কাল উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানা এলাকার ঈশ্বরীগাছায়। ওই রান্নাঘরটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেখান থেকেই কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন: AI প্রযুক্তির সাহায্যে মৃতদেহ শনাক্ত করে খুনের♛ কিনারা করল পুলিশ, গ্রেফতার ৪
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যার কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে তিনি একজন মহিলা। তার নাম হল রহিমা খাতুন। তিনি গোপালনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি কয়েকজনের নারীপাচার চক্রে জড়িত থাকার বিষয়টি দেখে ফেলেছিলেন। তাই প্রমাণ লোপাট করার জন্য ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তাকে খুন করা হয়েছিল। এরপর ওই এলাকার ওই পরিত্যক্ত রান্নাঘরে মꦉাটি খুঁড়ে চাপা দেওয়া হয়েছিল রহিমা খাতুনের মৃতদেহ। প্রায় দুদিন ধরে মাটি খোঁড়া হয়েছিল। বাকিবিল্লা মণ্ডল এবং তারাবান মণ্ডল নামে দুজন রহিমাকে খুন করেছিল বলে জানা যায়।
নারী পাচার মামলার তদন্ত নেমে ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর তাদেরকে জিজ্♛ঞাসাবাদ করে রহিমাকে খুন করে মাটির নিচে দেহ লুকিয়ে রাখার বিষয়টি জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তাদের বয়ানের ভিত্তিতে রান্নাঘরের মাটি খুঁড়ে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর জন্য দুজনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা জায়গাটি শনাক্তকরণ করে। এরপর রহিমার দেহ যেখানে মাটিচাপা দেওয়া ছিল সেখানে মাটি খনন করে তার কঙ্কাল উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক ভিড় জমে। তবে যে বাড়ির রান্নাঘরে এই ঘটনা ঘটেছে সেই বাড়ির সদস্যরা এ বিষয়ে জানতেন না বলেই দাবি করেছেন। পুলিশ আসার পরে🐻ই তারা এই বিষয়টি জানতে পারেন। এই ঘটনায় সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়াও ওই বাড়ির কোনও সদস্য জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল ফরেনসিকের জন্য পাঠানো হয়েছে ।