বীরভূমের খয়রাশোলে বন্ধুকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে শেখ সালমান। কাকার মতো সলমানও যে খুনি হয়ে উঠবে তা যেন মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবারের সদস্যরা। 🥂খয়রাশোলের আহম্মদপুর গ্রামের বাড়ি সলমানের। তার কাকা হাফিজুলের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতা আবদুল কাদেরকে খুনের অভিযোগ ছিল। ফলে শেখ সলমﷺান যে টাকার জন্য খুনের পথ বেছে নেবে তা ধারণায় ছিল না এলাকাবাসীদের।
সৈয়দ সালাউদ্দিন নাম🐼ে বন্ধুকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে সালমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে তৃণমূল কর্মী আবদুল কাদেরকে খুনের পর গা ঢাকা দিয়েছিলেন তার কাকা হাফিজুল। পরে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বোমার মজুদ রেখেছিলেন। তার ভাই লিটন তাকে বাড়িতে খাবার🍃 পৌঁছে দিত। সেই সময় ২০১৬ সালে বোমা বিস্ফোরণে বাড়ির উড়ে গিয়েছিল। যার ফলে হাফিজুল এবং লিটন দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছিল। সালাউদ্দিন ওরফে জয়ের সঙ্গে ছোট থেকেই বন্ধুত্ব ছিল সলমানের। যদিও জয় থাকত মামার বাড়ি মল্লারপুরে। তবে গ্রামে ফিরলেই সলমনের সঙ্গে আড্ডায় বসতো সে। শনিবার সকালেও তারা আড্ডা দিয়েছে। দুপুর পর্যন্ত তাদের আড্ডা চলেছে। সলমানের বাকি বন্ধুরা জানায়, বেলা ১২টার সময় সলমান আড্ডা ছেড়ে চলে যায়। তার ফোনের ডিসপ্লে খারাপ হয়ে গিয়েছে, এই বলে সে আড্ডা ছেড়ে উঠে যায়।
জানা গিয়েছে, সালমান বিকেলে স্কুটি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বাড়ি🅺তে সে জানিয়েছিল নাকি একটি বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ রয়েছে। রাতে বাড়িতে নাও ফিরতে পারে। তবে ছেলে যে এরকম কাজ করতে পারে তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না সালমানের মা পাপিয়া বিবি। এলাকাবাসীদের দাবি,💝 অনলাইনে গেম খেলে প্রচুর পরিমাণে টাকা হারিয়েছিল সলমান। প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য জাবির হোসেনের কাছ থেকে সে ইটভাটার নাম করে নাকি তিন লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে জয়কে অপহরণ করলে লক্ষ্মীলাভ হতে পারে। সেই লোভেই সে হয়তো জয়কে অপহরণ করেছিল। মুক্তিপণ বাবদ সে ২ লক্ষ টাকা চেয়েছিল জয়ের বাবার কাছে কিন্তু, সেই টাকা না পাওয়ায় সে খুন করে বলে অনুমান পুলিশের।