এখন করোনা বড় বালাই। আর তাতে একাধিক পুলিশকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। এমনকী প্রাণ হারিয়েছেন রাজ্য–কলকাতা পুলিশের বহু কর্মী। তবে সেটা গত বছর। করোনার প্রথম ঢেউয়ে। এবার তাই বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করছেন তাঁরা। পরিষেবা তো বন্ধ করা যায় না। তাই নিরাপদে থাকাই একমাত্র উপায়। আর তাই অন্যরকম ছবি দেখা গেল নরেন্দ্রপুর থানায়। মাইক্রোফোনে অভিযোগ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সংক্রমণ ঠেকাতে এটাই বাড়তি ব্যবস্থা।পুলিশ কর্মীরা সেই অভিযোগ শুনতে সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহার শুরু করেছেন। নরেন্দ্রপুর থানা সূত্রে খবর, করোনাভাইরাস ঠেকাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাই এখন প্রধান লক্ষ্য। সাউন্ড সিস্টেম চালু করার ফলে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখেই নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারছেন সাধারণ মানুষ৷ মাইক্রোফোনের সাহায্যে অভিযোগ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷ আর উল্টোদিকে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারও তাঁর বক্তব্য ও প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে মাইক্রোফোনের সাহায্যে করতে পারছেন৷থানায় আসা মানুষজনকে কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য প্রচারও চালাচ্ছে পুলিশ৷ হাত ধুয়ে থানায় ঢোকার জন্য বেসিনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে৷ থানায় ঢোকার মুখে গোল দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে৷ বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, ‘পুলিশ আক্রান্ত হলে সাআরণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হবে কিভাবে। তাই এই বাড়তি ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ ও অভিযোগকারীর মধ্যে একটি কাঁচের দেওয়াল থাকছে। মা্ক্রোফোনের মাধ্যমে কথা বলছেন তাঁরা।