গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে নিখোঁজ হয়♛েছিলেন তরুণ ভ্লগার হার্দিক দাস (১৯)। এক সপ্তাহ পর তাঁর দেহ উদ্ধার হল একটি খাল থেকে। উলুবেড়িয়ার হিরাপুরে হুগলি নদীর ঘাটের কাছে একটি খাল থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠ💦িয়েছে পুলিশ। কীভাবে ওই তরুণের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।
হার্দিক বেহ💟ালার সেনহাটি এলাকার বাসিন্দা। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ওই তরুণ একটি পলিটেকনিক কলেজের ইলে🌸কট্রিক্যাল কোর্সের পড়ুয়া ছিলেন। তাঁর বাবা একটি সরকারি ব্যাঙ্কের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। হার্দিকের স্বপ্ন ছিল ট্রেনের লোকোমোটিভ চালক হিসেবে কেরিয়ার গড়া। পাশাপাশি রেলের ভ্লগার হিসেবেও পরিচিত ছিল হার্দিক। লোকোমোটিভ এবং ট্রেনের অসংখ্য ভিডিয়ো এবং রিল তৈরি করে সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করতেন ওই তরুণ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হার্দিকের কলেজে কোনও ক্লাস ছিল না অথচ সে তাঁর মাকে কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এরপর বেহালা থেকে বেরিয়ে প্রথমে নিউ আলিপুর স্টেশন এবং সেখান থেকে ট্রেন ধরে সে দমদমে যায়। শেষবার তাঁকে দমদম প্লাটফর্মের ৪ ও ৫ নম্বর প্লাটফর্মে দেখা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এমন তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। হার্দিকের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্রাক করে পুলিশ জানতে পেরেছে শেষবার দমদম এবং টালার কাছে তার মোবাইলটি চালু ছিল। তারপর থেকে তার মোবাইল ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর মৃত্যুর যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। যদিও তার শরীরে বাইরে 🌸থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে এটি আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না তদন্তকারীরা। এ বিষয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই আসল তথ্য জানতে পারবে পুলিশ।