আলু ব্যবসায়ী সমিতি কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই ধর্মঘট যদি না ওঠে দ্রুত তাহলে আলুর সংকট দেখা দেবে। এই আবহে নানা টালবাহানার পর এবার বাংলার আলু ভিন রাজ্যে পাঠানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে রাজ্য সরকার। সুতরাং ধর্মঘট উঠে যাবে তা বোঝাই যাচ্ছে। তবে এই বাংলার আলু ভিন রাজ্যে পাঠানোর প্রস্তাবে সায় দেওয়ার নে🐲পথ্যে অন্যতম শর্ত ছিল কলকাতা–সহ গ্রামবাংলার বাজারে আলুর খুচরো দাম কেজি প্রতি ৩০ টাকা বা তার কম হতে হবে। মঙ্গলবার ভিন রাজ্যে পাঠানোর অনুমতি মেলে। কিন্তু তার পরে ভিন রাজ্যে আলু যাওয়া শুরু করলেও আজ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতার বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
এখনও কলকাতার বেশিরভাগ বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। অথচ আলুর পাইকারি দাম ২৫ টাকা। আর চাষিরা এখন এক কেজি জ্যোতি আলু বিক্রি করে দাম পাচ্ছেন ১৮ টাকা। কলকাতার বাজারে পাইকারির সঙ্গে খুচরা 𒅌দামে এত ফারাক থাকছে কেন? উঠছে প্রশ্ন। এই বিষয়ে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা জানান, দু’এক দিনের মধ্যে ৩০ টাকা বা তার কম দাম🐽ে আলু বিক্রি না করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন আলু ভিন রাজ্যে পাঠাতে অনুমতি দেবেন। যদি আলুর দাম ৩০ টাকা বা তার নীচে নামানো হয়। সে কথা রাখলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘৩৬ ঘণ্টা কাজ করা নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন’, এবার জুনিয়র ডাক্তারদের সহমর্মিতায় প্রধান বিচারপতি
এখন আলু ব্যবসায়ী সমিতির কথা রাখার পালা। আর সেই কথা তাঁরা রাখলেন কিনা সেটা জানতে একসপ্তাহ পর আবার আলু নিয়ে রিভিউ মি෴টিং করা হবে। যদি দেখা যায় দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না, সেক্ষেত্রে রাজ্য স🐠রকার আবার অনুমতি প্রত্যাহার করে নেবে। ব্যবসায়ীরাও প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে দেখা গিয়েছে, খুচরো বাজারে আলুর দাম এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরো আলুর দামের বিস্তর ফারাক হচ্ছে। এতটা হওয়ার কথা নয়। কারণ, হিমঘরে চাষিরা ১৮ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করলেও তা বাজারে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’