হিমঘরে মজুত আলু বন্ডের দাম প্রতিদিনই কমছে। এই অবস্থায় চিন্তায়♓ ঘুম উড়েছে আলু ব্যবসায়ী এবং চাষিদের। গত বছর খারাপ আবহাওয়া ছিল। সেই কারণে আলুর ফলন কম হওয়ায় এ বছর বেশি লাভের আশায় অনেকেই হিমঘরে বেশি পরিমাণে আলু মজুত রেখেছিলেন। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে আলু ঢোকার ফলে প্রতিদিনই দাম কমছে আলু বন্ডের। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৮ শতাংশ আলু হিমঘরে মজুত রয়েছে। জানিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ী ও চাষিরা।
সম্প্রতি দুই চাষির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং জামালপুরে। পরিবারের দাবি, আলু বন্ডের দাম কমে যাওয়ার ফলে দুই চাষি আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তারপরে হিমঘরে আলু মজুত🍷 রাখা꧒র মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে রাজ্যের কাছে আর্জি জানানোর কথা ভাবছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু রাখার মেয়াদ রয়েছে। রাজ্যের হিসেবে অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত হিমঘরে ২৩ লক্ষ টন আলু মজুতꦫ রয়েছে। তাই আলু রাখার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করার আর্জি জানাবে এই বꦍ্যবসায়ীদের সংগঠন। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান লালু মুখোপাধ্যায় জানান, এবিষয়ে সমিতির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কৃষি বিপণন দফতরে আবেদন জানানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য, প্রতিবার জেলার চাষি এবং ব্যবসায়ীদের একাংশ বাড়তি লাভের আশায় হিমঘরে আলু মজুত রাখেন। তবে গত বছর আলুর ফলন কম হওয়ায় অনেকে এবার বেশি আলু মজুত রেখেছিলেন। এরইমধ্যে উত্তরবঙ্গের আলু বাজারে আসতে শুরু করেছে। এছাড়াও, এ রাজ্য থেকে বিহার, অসম এবং অন্ধপ্রদেশেও আলু সরবরাহ করা হতো। কিন্তু সেখানে বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের আলু ঢুকছে। যার ফলে হিমঘর 🧜থেকে বেশি আলু বের করার চাহিদা এখনও তৈরি হয়নি। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে🔴ন ব্যবসায়ীরা।